ফুসফুস সুস্থ থাকলে ভাল থাকে শরীর। বিশেষ করে এই কোভিডকালে ফুসফুস যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। শ্বাস প্রশ্বাস সহ শরীরের একাধিক ক্রিয়ার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন যা নিরন্তর জুগিয়ে চলে ফুসফুস। চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন না পেলেই দেখা দেয় একাধিক শারীরিক জটিলতা। কখনও অধিক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ, নিত্য জীবনযাপনের ধরণ, ধুমপানের অভ্যেস কিংবা বয়স বাড়ার সঙ্গে হ্রাস পায় ফুসফুসের কার্যক্ষমতা। তখনই অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় শরীরে। ফুসফুস ভাল রাখতে যেমন নিত্য জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন ঠিক তেমনই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু খাবার যোগ করলে সুস্থ থাকে ফুসফুস। বাড়ে কার্যক্ষমতা। যেমন-
আপেল
ফুসফুসের ধারণশক্তি বাড়াতে আপেল খুবই কার্যকরী। শুধু ধারণশক্তি নয় ধুমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসের শুশ্রুষা করতেও বেশ কাজের আপেল। তবে এর মানে এটা একেবারেই নয় যে আপেল খেলে এবং ধুমপান করে গেলেও তার কোনও প্রভাব পড়বে না। ফুসফুস সুস্থ রাখতে অবিলম্বে ধুমপান বন্ধ করা উচিত।
কুমড়ো
কুমড়োতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটেনয়েড(carotenoids) নামে বিশেষ উপাদান থাকে। ক্যারোটেনয়েড(carotenoids) যেমন জিঅ্যাক্সাথিন(zeaxanthin), লুটেইন(lutein), বিটা ক্যারোটিনের(beta carotene) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (antioxidant) ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি(anti inflammatory) কার্যকারিতা রয়েছে। এগুলি ফুসফুসের ধারণশক্তি বাড়িয়ে তোলে। তাই যারা নিয়মিত ধুমপান করেন তারা নিয়মিত কুমড়ো খেলে উপকার পাবেন।
লাল বাঁধাকপি
এই লাল বাঁধাকপি পুষ্টিতে একেবারে ঠাসা। আর এর একাধিক পদ বানানো যায়। তাই নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই রেড ক্যাবেজ রাখা যেতেই বারে। লাল বাঁধাকপির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে। এই অ্যান্থোসায়ানিন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচায়।
হলুদ
হলুদের উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয় তাই যথার্থ কারণেই এই হলুদ হল সুপারফুড। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতার জন্য ভুবন জোড়া নাম। ফুসফুস ভাল রাখতে একাধিক ভাবে কার্যকর এই হলুদ। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে যেন রান্নায় ব্যবহৃত হলুদের গুঁড়োতে কোনওরকম ভ্যাজাল না থাকে।
পিপার
মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফুসফুস ভাল রাখতে ভিটামিন সি খুবই কাজের। এর পাশাপাশি মরিচে প্রচুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সহজে জলে গুলে যায় এমন সব পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। শরীরে যে সব বর্জ্য পদার্থ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মরিচ।
ক্যাফেনযুক্ত পানীয়
ক্যাফেনযুক্ত পানীয় যেমন গ্রিনটি, কফি এগুলো ফুসফুসের ধারণশক্তি বাড়িয়ে তোলে। তা ছাড়া এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ফুসফুস সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ থেকে বর্জ্য পদার্থ ও ফ্রি রেডিক্যাল নিকাশ করতে সাহায্য করে।
এই সব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ফুসফুসের ধারণশক্তি বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে।