ঘুমের সমস্যা, ঘটা করে ঘুমোতে গেলেও ঠিক সময় কিছুতেই ঘুম আসে না চোখে! এই নিয়ে চিন্তায় আপনিও। কারণ স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দিনে অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত। এই অনিয়মিত ঘুমের অভ্যেসকে নিয়ন্ত্রণ করতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই খাবারগুলি খেতে পারেন। যেমন-
আমন্ড (almond)
আমন্ড বাদামে প্রচুর পরিমানে মেলাটোনিন রয়েছে। এই উপাদান ঘুম নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার সময় নির্দিষ্ট করে। আমন্ডে এত পরিমান পুষ্টি আছে যে একে এক কথায় সুপারফুডও বলা চলে। তাই রাতে ঘুমোত যাওয়ার আগে কিংবা হেলদি স্ন্যাক হিসেবেও এটা খাওয়া যেতে পারে।
গরম দুধ (warm milk)
ভাল ঘুমের জন্য গরম দুধর উপকারিতার আজ আর কারও অজানা নয়। দুধে বেশ কিছু উপাদান আছে যা ঘুম আসতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি অনিয়মিত ঘুমকে নিয়ন্ত্রণে এনে তা নিয়মিত করে দেয়।
ক্যামোমাইল চা (chamomile tea)
ভাল ঘুমের জন্য ভীষণ কার্যকরী এই ক্যামোমাইল টি। প্রাচীনকাল থেকেই অনিদ্রার জন্য এই ক্যামোমাইল টি ব্যবহার করা হয়। এই ভেষজ গাছে এমন একটি ফ্লেভানয়েড পদার্থ আছে যা ঘুম আসতে সাহায্য করে। পাশপাশি চা হলেও ক্যামোমাইলে কোনও ক্যাফেন নেই যা কিনা অল্প হলেও গ্রিন টিতে রয়েছে।
আখরোট (walnut)
আখরোটে এমন কিছু উপাদান আছে যা রাতে ঘুম আসতে সাহায্য করে। এই আখরোটে থাকে মেলাটোনিন, সেরোটোনিন ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ও যেমন এই বাদাম খেতে পারেন তেমন আবার মধ্য রাতে খিদে পেলেও এই বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
কলা (banana)
কলাতে প্রচুর পরিমানে পোটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আছে। এই দুটি উপকরণ মাংশপেশিকে শিথিল করে। এছাড়া কলায় এল ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এই বিশেষ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে গিয়ে ফাইভ-এইচটিপি তে বদলে যায়। আর এই বিশেষ উপাদান আবার সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এই সেরোটোনিন হল এক ধরনের রিল্যাক্সিং নিউরোট্র্যান্সমিটার।
(ছবি সৌ: Unsplash)