কলকাতা: হিন্দু (Hindu) ধর্মে খাটে বসে খাবার খাওয়া অত্যন্ত অনুচিত। খাবার (Food) খাওয়ার কিছু বিধি-নিয়ম আছে হিন্দুধর্মে। খাবার বা অন্নকে দেবী অন্নপূর্ণার রূপ বলে মনে করা হয়। সনাতম ধর্ম অনুসারে দেবীর কৃপায় আমরা অন্নলাভ করে থাকি। তাই কী ভাবে খেতে হবে, তার কিছু নিয়ম শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। এই নিয়মগুলি না মেনে খাবার খেলে সেই সংসার থেকে অপমানিত হয়ে বিদায় নেন মা লক্ষ্মী। লক্ষ্মী ছেড়ে যাওয়ায় সেই বাড়িতে দেখা দেয় অশান্তি ও অনটন।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে মেঝেয় আসন পেতে বাবু হয়ে বসে খাবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে নানা কারণে মেঝেয় পা মুড়ে বসে খাবার খাওয়ার রীতি এখনকার দিন প্রায় উঠেই গিয়েছে। টেবিল চেয়ারে বসেই বেশিরভাগ বাড়িতে খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ বিছানায় শুয়ে-বসেই খাবার খেয়ে নেন। কিন্তু মনে রাখবেন হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিছানায় বসে খাবার খাওয়া অত্যন্ত অশুভ। কখনোই বিছানায় বসে কিছু খেতে নেই।
আরও পড়ুন: Offbeat Destination | যাবেন নাকি ‘ল্যান্ড অফ ফলেন রকসে’?
শাস্ত্রে বলা আছে যে বিছানায় বসে কিছু খেলে বা পান করলে রুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। এই অভ্যেস আপনার জীবনে অলক্ষ্মীকে টেনে আনবে। বিছানায় বসে খাবার খেলে দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারেন। তাই বিছানায় না বসে চেষ্টা করুন মেঝেয় বসে খাবার খেতে। মনে করা হয় বিছানায় বসে খাবার খেলে আপনি একই সঙ্গে খাবার ও শয্যার অপমান করছেন। খাবারের অপমান করলে অপমানিত হন মা লক্ষ্মীও। বিছানায় বসে খাবার খেলে রাহুও কূপিত হয়। এর ফলে রাহুর দশায় জীবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া বিছানায় বসে খাবার খাওয়ার বদভ্যাস আপনার স্বাস্থ্যেও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। যে বিছানায় আপনি রাতে ঘুমোতে যান, সেখানেই খাবার খেলে তা আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। কারণ আপনার মনের ভেতরে এমন ধারণা জন্মাবে যে এটি ঘুমনোর স্থান নয়। তার ফলে সাউন্ড স্লিপ আসতে চাইবে না। আবার বিছানায় বসে খাবার খেলে সেখানে জীবাণুর বাসা হতে পারে। এই সব জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।