ওজন কমাতে খালি পেটে ইষদুষ্ণ জলে লেবুর রসের ঘরোয়া টোটকা ভীষণ কার্যকরী। আবার সমান জনপ্রিয়। এমন মানুষ মেলা ভার যে ওজন কমানোর জন্য এই টোটকা কাজে লাগাননি। অধিংকাশ উপকার পেয়েছে তবে একাংশ এমনও আছে, এই পথে হেটে যারা পেটের সমস্যায় পড়েছে। যাদের পাচনক্রিয়ায় সমস্যা রয়েছে এ রকম অনেকেই এই টোটকা কয়েকদিন করার পর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন, কাবু হয়েছেন অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের ব্যথ্যায়। আপনিও যদি তাদের একজন হন তা হলে গরম জলে লেবুর রসের বদলে কাজে লাগান মৌরি। পেট ঠান্ডা করতে মৌরি ভেজানো জল অনেকেই খেয়েছেন। তাই মৌরির উপকারিতা অনেকেই জানেন, এবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কী ভাবে এই মৌরিকে কাজে লাগাবেন জেনে নিন-
বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে থাকেন, ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাসে রাতারাতি আমূল পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। বরং, বেবি স্টেপস নেওয়া ভাল। এতে শরীর এই পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পায়। তাই ওজন কমানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মৌরিক বেছে নিতে পারেন। প্রতিদিন মৌরি খান, খাবারের পরে মৌরি খেতে পারেন কিংবা আবার মৌরি দেওয়া চাও খেতে পারেন।
কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে মৌরি দেখে নিন-
মৌরিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। তাই মৌরি ভাল করে চিবিয়ে খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। এর ফলে ঘন ঘন খিদে পাবে না। আর বার বার খাবর না খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢুকবে না। এর ফলে ওজন কমবে।
মৌরি শরীরের খাবার থেকে ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ শুষে নিতে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের শরীরে ফ্যাটে স্টোরেজ কমে যায়।
মৌরির ডাইইউরেক্টিক কার্যকারিতা রয়েছে। তাই মৌরি দেওয়া চা খেলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজে বেড়িয়ে যায়। এর ফলে ওজন কমে।
মেটাবলিজম বুস্টার হিসেবে দারুণ কার্যকরী মৌরি। সকালে খালি পেটে মৌরির জল খেলে শরীরের হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মৌরিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কোলিন এগুলো সব আমাদের শরীরে কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মুক্ত করে। এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারনে স্থুলতা ও ডায়বিটিসির সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভাল হজমশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৌরিতে এস্ট্রাগোল, ফেনচন ও অ্যানেথোলের মত তেলে রয়েছে যেগুলি আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এর ফলে পাচানক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে কাজ করে।
ছবি সৌজন্য: Pixabay