গরম (Summer) মানেই আমের (Mango) সিজন। এখন বাজারে অল্প বিস্তরে আমের দেখা মিললেও আর কিছু দিনের মধ্যেই আমের গন্ধে মম করবে বাজার। এর মাঝেই ভালো আম চিনে নিতে পারবেন তো? অথবা কোন আমটা প্রাকৃতিক উপায়ে হলুদ আর কোনটা কৃত্তিম উপায়ে সে নিয়ে কোনও ধারণা আছে আপনার? কারণে বাজারে আমের চাহিদা বাড়তেই ইনজেকশন দিয়ে নানা ক্ষতিকর মেডিসিন আমে ঢুকিয়ে দ্রুত পাকানো হয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেব কিছু টিপস যার দ্বারা খুব সহজেই শনাক্ত করা যাবে কৃত্রিম উপায়ে রং করা আম।
আরও পড়ুন: TALK ON FACTS | জানেন কি এমন প্রাণী আছে যে ডিম ও দুধ দেয়
আমের রঙ
আম কেনার সময় আমের রঙ দেখতে ভুলবেন না। একটি আম রাসায়নিকভাবে পাকানো হলে, তাতে সবুজ দাগ পড়ে। এই দাগগুলি আলাদাভাবে দৃশ্যমান হয়।
আমের আকার
আমের আকার আপনাকে জানিয়ে দেবে যে, এটি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়েছে কিনা। রাসায়নিকভাবে পাকা আম আকারে ছোট হয়। এ ছাড়া, সাদা বা নীল আভার আমও কেনা উচিত নয়।
ওয়াটার টেস্ট
আম কেনার সময় পানিতে ডুবিয়ে দেখুন। যে আমগুলো পানিতে ডুবে যায় সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই পাকা আম। কিন্তু যেগুলি না ডুবে ভাসমান অবস্থায় থাকে সেগুলি রাসায়নিকভাবে পাকানো হয়েছে।
চেপে দেখুন
আম কেনার সময় হালকা চেপে দেখুন। নরম হলে আমটি পাকা ও মিষ্টি হবে। কিন্তু আম টিপলে কিছু জায়গায় শক্ত মনে হলে বুঝে নিবেন আম ঠিকমতো পাকেনি । কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম বিক্রি করা হচ্ছে।
আম পাকানোর জন্য কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় জানেন?
আম পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়। আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে এটি অ্যাসিটিলিন নামক গ্যাস ছড়ায়। এতে আম দ্রুত পাকে। এটি আমাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ত্বকের জ্বালা, শ্বাসকষ্ট এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলি দেখা দেয়। আবার ফল ব্যবসায়ীরাও আম পাকাতে ‘ইথিলিন ট্রিটমেন্ট’ ব্যবহার করেন। এ সময় ফলকে ইথিলিন গ্যাসের সংস্পর্শে আনা হয়। এই গ্যাস একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ হরমোন। যা ফল দ্রুত পাকতে সাহায্য করে