অনেকেই স্ট্রেস ও টেনশন থেকে মুক্তি পেতে রান্নাঘরে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পছন্দ করেন। তাঁদের কাছে রান্না করার মতো ভাল স্ট্রেস বাস্টার আর হয় না। কিন্তু আপনার কাছে বিষয়টা একেবারে উল্টো। খেতে ভালবাসেন তবে তেমন ভাল রাঁধুনি আপনি নন। গুছিয়ে রান্না করা আপনার ধাতে নেই, কখনও ফোড়নের মশলা খুজে পান না, কখনও আবার এলাচ লবঙ্গ খুঁজতে হিমশিম খান। নিরামিষ বা আমিষ যাই রান্না করুন, ধৈর্য্ ধরে সবজি না-কেটে গ্যাসে বসিয়ে উপকরণ জোগাড় করতে গিয়ে কখনও তেল পুড়ে রান্নাঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়, কখনও আবার অর্ধেক রান্না হয়ে গেলেও আপনার প্রয়োজনীয় সবজি কাটাকুটি হয়ে ওঠে না। রান্নাঘর থেকে রান্না করে নয়, যেন যুদ্ধ জয় করে বেরোন আপনি। তবে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির হাত থেকে চাইলেই মুক্তি পেতে পারেন। কীভাবে? মেনে চলুন এই সহজ কিছু নিয়ম-
১. রান্না শুরু করার আগে শুধুমাত্র প্রথম ধাপে প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করলেই চলবে না। বরং রান্নার প্যান, প্রয়োজনীয় হাতা খুন্তি, ননস্টিক বাসন হলে কাঠের খুন্তি, মশলাপাতি এবং অবশ্যই রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি গুছিয়ে নিন। এতে সময়ের সাশ্রয় হবে, অযথা তাড়াহুড়ো করতে হবে না এবং রান্নায় মনোযোগ করতে পারবেন। যত সহজ পদই রান্না করুন না কেন, দেখবেন সঠিক সময় সঠিক উপকরণ ব্যবহার না করলেই স্বাদের তারতম্য হতে বাধ্য।
২. রান্নায় সদ্য হাতেখড়ি হয়েছে তাই ইদানীং রেসিপি দেখে রান্না করেন। তা হলে নতুন কোনও পদ রাঁধতে গেলে রেসিপি দেখে সব কিছু গুছিয়ে নিন। এবং যেভাবে ধাপে ধাপে রান্না করতে বলা হয়েছে, সেভাবে অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন। দেখবেন রান্নার স্বাদ আশানুরূপ রান্না হয়েছে।
৩. রান্নায় সস বা চাটনি ব্যবহার করলে স্কুইজ বোতল ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে ঢাকনা খুলে, চামচে তোলা কিংবা ঢালার বদলে সসের টিউব টিপেই সোজা রান্নায় দিতে পারবেন। এতে সময় কম লাগবে। এবং হাত পিছলে সসের কাচের শিশি ভেঙে যাওয়া কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পড়ে যাওয়ার মত অযথা হয়রানি পোহাতে হবে না।
৪. রান্না শেষে সব সময় মশলা ও তেলের কৌটো বা বোতল গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন। প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় উপকরণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে নিন। এবং প্রত্যেকবার রান্নার শেষে জায়গা মতো জিনিস রাখুন। দেখবেন এতে প্রয়োজনীয় উপকরণ মশলাপাতি খুঁজে পেতে সুবিধে হবে। সময়ের সাশ্রয় হবে এবং অযথা হয়রানি হবে না।
(ছবি সৌজন্য:Pixabay)