লম্বা, ঘন চুল পছন্দ করেন না এরকম লোক কমই আছেন। কিন্তু সবার প্রত্যাশা পূরণ হয় না। আবার অনেকেই আছে মাথার চুল ঘন হলেও তা এক সময় পাতলা হতে শুরু করে। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন দূষণ, অত্যাধিক চাপ, বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহারের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। তবে চুল যদি পাতলা হয় তাহলে যে বিষয়গুলি অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন সেগুলি হল,
নিয়মিত হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন
পাতলা চুলে কখনো স্ট্রেইটনার ও ব্লো ড্রাইয়ের মতো গরম সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করবেন না। চুলবান্ধব নয় এমন জিনিসের নিয়মিত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের হেয়ার স্টাইলিং পণ্যের অত্যধিক তাপ চুলের গোড়া ও স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। তবে মাঝে মধ্যে বা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
জেল ও হেয়ার স্প্রের সীমিত ব্যবহার
পাতলা চুলে কখনো জেল-ভিত্তিক স্প্রে প্রয়োগ করবেন না। এতে চুল আরও পাতলা দেখাবে। তার পরিবর্তে চুলে ভলিউম যোগ করতে একটি টেক্সচারাইজিং স্প্রে ব্যবহার করুন!
কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন
চুলের যত্নে ব্যবহৃত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার মাস্ক, হেয়ার অয়েল, সিরাম ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক হতে হবে। সব সময় প্রাকৃতিক উপাদানে প্রস্তুতকৃত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। আর পারলে অবশ্যই ঘরোয়া ভেষজ উপাদান ব্যবহারেও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
খুব বেশি তেল ব্যবহার করবেন না
অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, প্রতিদিন চুলে খুব বেশি তেল লাগালে চুলের গঠন উন্নত হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অবশ্যই তেল দেওয়া চুলের জন্য উপকারী। তবে অত্যধিক খুশকির কারণ হতে পারে। এমনকি চুল পড়ার পরিমাণও বাড়তে পারে এর থেকে। তাই সপ্তাহে ২-৩ দিন অল্প পরিমাণে তেল লাগিয়ে চুলে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
যা খাবেন, যা খাবেন না
আপনি কোন কোন খাবার রাখছেন খাদ্যতালিকা সেটিও কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার পেছনের অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হতে পারে। শাকসবজি, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, মাংস, তাজা ফল, স্বাস্থ্যকর জুস, বাদাম ইত্যাদিসহ সঠিক খাবার খেতে হবে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। অত্যধিক জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন, কারণ উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণের ফলে চুল পাতলা হওয়ার সমস্যা হতে পারে।