বাজার থেকে অতি কষ্ট করে বাছাই করে একটি নিখুঁত ফল বাড়িতে আনার পরেও যদি তার মধ্যে পোকা থাকে তখন কার না রাগ হয়। তবে ফলের থেকেও সবচেয়ে বেশি রাগ হয় দোকানদারের উপর। অনেকেই মনে করেন দোকানদাররা ইচ্ছা করে এই ফল আমাদের দিয়েছেন। অথচ সব ফলের মধ্যে থেকেই ভালো ফলগুলি আপনি বাছাই করে এনেছেন। এক্ষেত্রে দোষটা কার দোকানদারের নাকি ফলের নাকি আপনার। আবার অনেক ক্রেতাদের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে নিখুঁত ফলের ভেতরে পোকা থাকবে কি করে! এই প্রশ্নটি মনে আসলেও অনেকে উত্তরের গভীর পান না। তবে এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023| রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বৈঠক শুরু
বৈজ্ঞানিকরা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন যে, বোলতা জাতীয় প্রাণীরা নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করার জন্য ও নিজেদের প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই ফল ব্যবহার করে থাকেন। পেয়ারা বা নরম ফলের ভেতর যেসব পোকা থাকে, এগুলোর বেশির ভাগই একধরনের বোলতার শূককীট। পেয়ারা বা এ-জাতীয় ফল পাকার কিছুদিন বোলতারা এর ভেতর ডিম পাড়ে। ডিম তো ভেতরে ঢুকে পাড়তে পারে না! তাই হুলের সাহায্য নেয়। হুল দিয়ে ফলের গায়ে সূক্ষ্ম গভীর ছিদ্র করে। তারপর ডিম পাড়ে সেই গর্তের মুখে। হুলের সাহায্যে ঠেলে সেই ডিম ঢুকিয়ে দেয় ফলের ভেতরে। ফল যখন পাকা শুরু করে, ততদিনে ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। ফলের নরম শাঁস খেয়েই বেড়ে ওঠে কিলবিলে পোকাগুলো। ততদিনে অবশ্য ফলের গায়ের সেই সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলোও মিলিয়ে গেছে। অর্থাৎ ফলের ভেতর বোলতার ছানারা একই সঙ্গে খাবারের জোগান পেয়ে যায় আবার শত্রু নাগাল থেকেও নিরাপদ। সেই জন্যই পোকার হাত থেকে বাঁচতে চাষিরা প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট দিয়ে ফল মুড়িয়ে রাখেন। এই প্যাকেট ভেদ করে ফলের ভেতর ঢুকতে পারে না বোলতার হুল।