শীতকালে এসে চলে যাওয়ার উপক্রম তাও নাছোর বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা নেই। এই আবগারী আবহাওয়ায় অফিসে বসে কিংবা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এক কাপ ধূমায়িত আদা চায়ের থেকে ভাল কিছু কি আর হয়? রান্নায় কিংবা চায়ে চমক আনতে সামান্য একটু আদার রসই যথেষ্ট।
তবে শুধু তো স্বাদের চমক নয় শরীরের বেশ কিছু সমস্যায় আদার ভীষণ কার্যকরী। আদা কাঁচাও খাওয়া হয় আবার রান্না করে। কখনও খোসা ছাড়িয়ে কখনও আবার খোসা সমেত। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন সঠিক ভাবে আদার খোসা না ছাড়ালে বাদ চলে যেতে পারে আদায় থাকা বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান।
তাই নাকি আদা খোসা সমেত খাওয়াই ভীষণ উপকারী। আদায় যে পরিমাণ উপকারী পলিফেনলস রয়েছে তার ঠিক দ্বিগুণ পলিফেনলস রয়েছে আদার খোসায় এছাড়াও রয়েছে অন্যন্য কার্যকরী উপাদান।
তবে রান্নায় তো আর খোসা সমেত আদা ব্যবহার করা চলে না কারণ এতে স্বাদের তারতম্য ঘটতে পারে। তাই এই সময় বটি বা পিলার ব্যবহার না করে বরং চামচের উলটো পীঠে আদার গায়ে ঘষে আদার খোসা ছাড়িয়ে নিন। কারণ আদা ছাড়াতে আপনি যত বেশি সময় নেবেন আদার উপরের অংশটি তত দ্রুত অক্সিডাইজ হতে শুরু করবে এবং এর ফলে আদায় থাকা পুষ্টি নষ্ট হতে থাকবে। আবার ছুরি দিয়ে ছাড়াতে গেলে খোসার সঙ্গে বেশি করে আদা কেটে যেতে পারে। তাই চামচ দিয়ে ছাড়ানোই ভাল।
আমাদের নিত্যদিনের কাজে আদা বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে যেমন
গলা ব্যাথায় কাজে আসে আদা।
আলিস্যি কাটাতে সাহায্য করে আদা।
পেটের মেদ ঝরাতে আদা বেশ কার্যকরী।
গ্যাসের কারণে পেট ব্যাথা কিংবা পেট ফোলার মত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় আদা।
পাশাপাশি আদা শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে।
তাই শীতের আলিস্যি কাটিয়ে গোটা দিন নিজেকে তরতাজা রাখতে, পেটে সমস্যার সহজ সমাধানে বানিয়ে খেতেই পারেন আদা দিয়ে তৈরি এই বিশেষ চা।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন দেখে নিন