খেজুর খেতে ভালবাসেন এরকম মানুষ কমই আছেন। যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থকর। খেজুরের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। ঠিক যেমন খেজুরের কত রকমভেদ আছে সহজে বোঝানো সম্ভব নয়। বলা হয় অন্তত দু’শো রকমের খেজুর পাওয়া যায়। তবে এই এত রকমের খেজুরের মধ্যে এই ১০টি প্রকার খুবই জনপ্রিয়।
১. আজবা- নরম ও শুকনো ধরনের এই খেজুরগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। খেতেও খুব নরম। রোগ নিরাময়ে এই খেজুর খুবই জনপ্রিয়।
২. আনবারা- এই খেজুরগুলো খেয়ে মজা। আকারে বেশ বড় হয় এবং খেজুরের বিচি ছোট থাকায় অনেক বেশি শাঁস থাকে এই খেজুরগুলিতে। এই কারণে এগুলি বেশ দামি। বাদামি রঙের এই খেজুরগুলি খেতে মিষ্টি এবং প্রোটিনে ভর্তি।
৩. সাফাউই- নরম, মিষ্টি ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ এই সাফাউই খেজুর। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ যা পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকরী। রোগ নিরাময়ে ক্ষমতা রয়েছে এই ধরনের খেজুরের।
৪. বারহি- হলদেটে রঙে এই খেজুর খেতে বেশ মুচমুচে। ব্রাউন সুগার ও ক্যারামেলের স্বাদের মতো এই খেজুরের স্বাদ। এগুলি অল্পতেই খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই একটি বড় হলেই এই খেজুর বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে ফ্রিজে জমিয়ে রাখলে মাসের পর মাস ব্যবহার করা যায়।
৫. সাঘাই- খেতে খাস্তা এই খেজুর রিয়াদে পাওয়া যায়। এগুলি বাদামি ও গোড়ায় হাল্ক হলদেটে রঙের হয়। এদের উপরের স্তরগুলো কোঁচকানো থাকে। তবে খেতে দারুণ সুস্বাদু।
৬. খুদরি- গাঢ় বাদামি, শুকনো তবে বেশ মিষ্টি খেতে হয় এই খেজুরগুলো। দীর্ঘদিন সতেজ থাকে এবং সস্তা বলে সব থেকে বেশি রফতানি করা হয় এগুলো।
৭. সুককারি- শুকনো, খাস্তা তবে খুবই মিষ্টি খেতে হয় এই খেজুর। পুষ্টিকর ও রোগ নিরাময় ক্ষমতার জন্য এই খেজুরগুলি বেশ জনপ্রিয়। এগুলো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এবং ক্লান্তি দূর করতেও এটি বেশ কার্যকরী।
৮. জাহিদি- দেখতে সোনালি, ডিম্বাকৃতি তবে উপরের স্তর একদম টানটান, দেখতে বেশ। স্বাদে অবশ্য মিষ্টি কম কিছুটা বাদামের মতো খেতে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা স্বাস্থ্যকর।
৯. মেজদুল- খেজুরের রানি বলা হয় এই মেজদুল খেজুরকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দেখতে যেমন, খেতেও তেমন সুস্বাদু। আমেরিকায় এই মেজদুল খেজুরের খুব চল আছে। শেকস ও স্মুদিতে এই খেজুর ব্যবহার করা হয়।
১০. খোলাস- এই খেজুরের একটা ক্যারামেল ফ্লেভার আছে। একটু চিটচিটে। উপরের স্তর বেশ হাল্ক। রঙ হাল্কা বাদামি। এগুলো অ্যারেবিক কফিতে ব্যবহার করা হয়।