তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁরা প্রত্যেকেই বছরের এই সময়টা চিন্তায় কাটান। একদিকে বর্ষাকালের ভ্যাপসা গরম অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতা একেবারে অন্ধকার নিয়ে আসে। ত্বকে অতিরিক্ত তেল মানেই ত্বকে ব্রণ- ফুসকুড়ির বাড়বাড়ন্ত। অতিরিক্ত আর্দ্রতায় রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে তেল ময়লা জমে ব্যাক্টেরিয়ার এই অত্যাচার থেকে ত্বককে বাঁচাতে তাই রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে উত্সবের মরসুমে ত্বকের এহেন অবস্থায় একপ্রকার অসহায় বোধ করেন আপনি। এই সব ক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার রাখতে ভীষণ কাজে দেয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই স্ক্রাব। এতে আপনার ত্বকও পরিষ্কার হবে আবার হারানো জেল্লাও ফিরে আসে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভীষণ কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই ২টি ফেস স্ক্রাব। কীভাবে তৈরি করেবন এই স্ক্রাব? জেনে নিন-
কফি দিয়ে তৈরি করে নিন স্ক্রাব
উপকরণ
এই ভাবে স্ক্রাব তৈরি করে নিন
কফি ও দই ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট মুখে আলতো হাতে পাঁচ মিনিট ধরে মালিশ করে নিন। পাঁচ মিনিট পর ইষদুষ্ণ জল দিয়ে একইভাবে আলতো হাতে ডলে মুখ ধুয়ে নিন। এবার মুখ নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ভাল পরে ভাল করে ময়শ্চারাইজ করে নিন।
কফি স্ক্রাবের উপকারিতা-
এক্সফোলিয়েটার হিসেব কফি দারুণ ভাল কাজ করে। এবং ব্রণ কমানোর ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকরী। ত্বকে বাড়তি তেল শুষে নেয় কফি। ত্বকের পরিচর্যায় দইয়েরও একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে দই। এর পাশাপাশি ত্বকের জ্বালা বা অন্যান্য সমস্যা সারিয়ে তুলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলে।
কিওয়ি বা স্ট্রবেরি দিয়ে ফ্রুট স্ক্রাব
উপকরণ
এই ভাবে ফ্রুট স্ক্রাব তৈরি করে নিন
কিওয়ি বা স্ট্রবেরি চিনির সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণে তেল মেশান। এবার মুখে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত মুখ ডলে নিন। মালিশের পর পাঁচ মিনিট রেখে দিন। মালিশের পর ইষদুষ্ণ জল ধুয়ে ফেলুন। পরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
ফ্রুট স্ক্রাবের উপকারিতা
কিওয়ি বা স্ট্রবের এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি সান ট্যান সারিয়ে তোলে। এর ফলে ত্বক আগের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল দেখায়। চিনি ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, স্ক্রাবারের কাজ করে। আর তেল ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকে তেলমুক্ত, সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায়।