শনিবার আচমকা তাপমাত্রার পারদ নেমেছে বেশ কয়েক ধাপ। আবহাওয়ার এই আচমকা বদলে অনেকরই ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথার সমস্যা হলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া টোটকা-
মধু খেলে আরাম পাবেন আপনি। চায়ের সঙ্গে এমনকি গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে গলায় আরাম পাবেন। দেখা গেছে, ঠান্ডা লেগে দিনের বেলায় স্বাভাবিক থাকলেও রাতের দিকে কাশি বা গলা ব্যথার সমস্যা আরও বাড়ে। এই সব ক্ষেত্রে মধু বেশ কার্যকরী।
নুন গরম জলে গার্গল, সাময়িক গলা ব্যথ্যায় বা গলা খুসখুসের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর এই টোটকা। সর্দি বসে গেলে তা অনেকটাই হাল্কা করে দেয় গরম নুন জলের গার্গল। এর ফলে গলার ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। ঠান্ডা লেগে গলা ফুলে গেলেও এই টোটকা খুব কাজে দেবে। প্রতি তিন ঘন্টায় গার্গল করতে পারলে খুবই আরাম পাবেন।
ক্যামোমাইল টি-র অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঠান্ডা লেগে বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন সর্দি-কাশি, গলা ব্যথায় ক্যামোমাইলের ব্যবহার করা হয়।ক্যামোমাইল শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোল। এবং যে কারণে সংক্রমণ বা গলা ব্যথা তা নষ্ট করে দেয়।
পিপারমিন্টের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল কার্যকারিতা রয়েছে। পিপারমিন্টে মেনথল আছে, এটা শ্লেষ্মাকে হাল্কা করে গলায় আরাম আনে। পিপারমিন্ট অয়েল স্প্রে ব্যবহার করলে আরাম পাবেন।
বেকিং সোডা দিয়ে গার্গল করতে পারেন। গরম জলে বেকিং সোডা গুলে গার্গল করলে, ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট ও ফাঙ্গাসের হাত থেকে রেহাই পাবেন। এক কাপ গরম জলে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা, ১/৮ চা চামচ নুন দিয়ে গার্গল করে কুলকুচি করে ফেলে দিন। দেখবেন গলায় আরাম পাবেন। প্রয়োজন পড়লে প্রত্যেক তিন ঘণ্টা অন্তর এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন।
যষ্টিমধু, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বা অ্যালার্জিতে বেশ উপকারী এটি। গরম জলের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে গার্গল করলে আরাম পাবেন। এক কাপ গরম জলে ১ থেকে ২ বড় চামচ মিশিয়ে গার্গল করুন আরাম পাবেন। ঘন্টায় ১ থেকে ২ বার গার্গল করুন। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই গার্গল করুন।
রসুন খেলে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাবেন। যদিও রসুনের উগ্র গন্ধের কারণে এই টোটকা অনেকেরই পছন্দ হবে না৷ তবে খাবারের সঙ্গে রসুনের কোয়া খেয়ে দেখতে পারেন আরাম পাবেন। খাবার শেষে ব্রাশ করে নিলে অসুবিধে হবে না।
তবে ব্যথা বাড়লে, কথা বলতে অসুবিধে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।