বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের নীচের মাংসপেশি ও আশেপাশের ফ্যাট গলতে ও বদলাতে শুরু করে। একই ভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে কোলাজেনের উত্পাদন। এই কারণ মিলিয়ে ত্বক যেমন নমনীয়তা হারায় তেমনই আবার চামড়ার কুঁচকে যাওয়া, চামড়া ঝুলে যাওয়া, জর জর হয়ে যাওয়া কিংবা বলিরেখার সমস্যার মতো একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই বয়স চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর আগেই ত্বকের পরিচর্যায় এই বিষয়গুলি মেনে চললে সহজে বয়সের ছাপ মুখে পড়বে না। এদিকে বাজার থেকে কেনা অ্যান্টি এজিং ক্রিম মানেই কড়া রাসায়নিকে ত্বকের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনা। তাই ওই পথে না হেঁটে বরং বাড়িতেই ঘরোয়া উপায় ত্বকের পরিচর্যা করুন এ ভাবে।
কলা, ওটস ও মধু ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে এভাবে বানিয়ে ফেলুন অ্যান্টি এজিং ফেস মাস্ক
উপকরণ
কলা- ১/২
ডিম- ১
ওটস- ৪ বড় চামচ
গোলাপ জল- ১ বড় চামচ
মধু- ২ বড় চামচ
ব্যবহার বিধি
মিক্সার গ্রাইন্ডারে, পাকা কলা, ডিমের সাদা অংশ, ওটস, কাঁচা মধু এবং গোলাপ জল ঢেলে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এই সব উপকরণ দিয়ে মসৃণ মাস্ক তৈরি করে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি আঙুল দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। তবে ভাল ফল পেতে মুখে এই মিশ্রণ লাগানোর আগে ভাল করে মুখ পরিষ্কার নিন।
প্রয়োজনে এই মাস্ক লাগানোর আগে মুখ এক্সফোলিয়েট করে নিতে পারেন, এতে মাস্ক আরও কার্যকর হবে। ত্বক পরিষ্কার থাকলে ভাল ফল পাবেন।
মাস্কটি অর্ধেক শুকানো না হওয়া পর্যন্ত মুখে রেখে দিন। একই সঙ্গে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মাস্কটি পুরোপুরি যাতে মুখেই শুকিয়ে না যায়।
তেমনটা হলে এটি আপনার মুখ থেকে আর্দ্রতা শুষে নেবে। এতে ত্বকের লাভের থেকে ক্ষতি হবে বেশি।
মাস্ক আধ শুকনো অবস্থায় আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন এবং যেকোনো অ্যান্টি-এজিং সিরাম লাগিয়ে নিন।
এই প্যাক আপনার কোলাজেন উত্পাদন বাড়াবে এবং মৃত কোষ পরিষ্কার করে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনুরুজ্জীবিত করে তুলবে। এর ফলে ত্বক টানটান হবে, ত্বকের নমনীয়তা থাকবে এবং বলিরেখা কম যাবে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
(ছবি সৌ :Unsplash)