মশরুম খেতে অনেকে যেমন ভালবাসেন তেমন আবার মাশরুমে প্রতি তীব্র অনিহা রয়েছের একাংশের। আবার এ রকম অনেকেই আছেন যারা মাশরুম পছন্দ করলেও অ্যালার্জির কারণে মাশরুম খেতে পারেন? মাশরুমের গন্ধ কিংবা মাশরুম খেলে অনেকের ত্বকের সমস্যা, র্যাশ এমনকি ঠোঁট ও গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়। মাশরুম নিয়ে এ রকমই একাধিক তথ্য রইল আপনার জন্য-
মাশরুম রান্না বা খাওয়ার আগে
মশরুম রান্না বা খাওয়ার সময় অবশ্যই এর ব্যপারে বিশদে জেনে নিন। নানা রকমের মাশরুম রয়েছে এদের মধ্যে বেশ কিছু যেমন খাওয়া যায় তেমন আবার বেশ কিছু এমন রয়েছে যেগুলো খাওয়ার অযোগ্য। এগুলি জংলি এবং বিষাক্ত হয়।
মাশরুম শুধুমাত্র রান্না করার আগে ধোওয়া উচিত। ধুয়ে রেখে দিলে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
খাওয়ার যোগ্য মাশরুমগুলি কি কি জেনে নিন-
হোয়াইট বাটন মাশরুম
মশরুমের এই ভ্যারাইটি দুধ সাদা এবং সামান্য বাদামী রঙয়ের হয়। হোয়াইট বটন মাশরুম ভারত ও আশেপাশের দেশগুলিতে পাওয়া যায়। তবে এর স্বাদ তেমন ভাল হয় না।
অয়েস্টার মাশরুম
এই মাশরুমগুলো একাধিক রঙয়ের হয় এবং খুব সহজেই এই মাশরুমের চাষ করা যায়। এই অয়েস্টার মাশরুম শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীরে কোলেস্ট্রোলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্রেমিনি মশরুম
বটন মাশরুমের মতো এই ক্রেমিনি মশরুম ছোট এবং বাদামী রঙয়ের হয়। এগুলোকে বেবি বেলা কিংবা পোর্টবেলো মাশরুমও বলা হয়।
পোসিনি মাশরুম
এই মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ, সি ও প্রোটিন থাকে। এই সব মাশরুমে বর্ষাকালে আপনা থেকেই গজিয়ে ওঠে।
এনোকি মাশরুম
এই মাশরুম দু’রকমের হয়। এর মধ্যে এক প্রকার মাশরুমের চাষ করা হয়। আর অপর প্রকারটি আপনা থেকে গজিয়ে ওঠে। এই এনোকি মাশরুমে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। এদের উইন্টার মাশরুম ও গোল্ডেন নিডল মাশরুমও বলা হয়।
শিমজি মাশরুম
এগুলিকে বিচ ব্রাউন মাশরুম ও বুনা শিমেজি মাশরুম বলা হয়। এগুলো মৃত সমুদ্র তীরের গাছগুলোতে চাষ করা হয়।
(ছবি সৌ: Everyday Health)