ঘি খাওয়া নিয়ে ফিটনেস ফ্রিকদের মধ্যে যে ছুৎমার্গ ছিল তা করোনা অতিমারির আবহাওয়ায় অনেকটাই কেটে গেছে। বরং সঠিক পরিমাণে ঘি খাওয়া হলে শরীর সুস্থ রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ঘি এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। এমনকি নিউট্রশনিস্ট ও ডায়টিসিয়ানদের অনেকে খালি পেটেও ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই ঘি খাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা না দিলেও কোন রকমের ঘি বাছবেন সেই নেই রয়েছে নানা মুনির নানা মত। মানে, গরুর দুধে তৈরি ঘি না মোষের দুধের তৈরি ঘি কোনটা বেশি উপকারী তা জানেন কি? আর শুধু উপকারিতার কথা জানলেই হবে না দুটো ঘি দেখে কীভাবে ফারাক করবেন তাও জানতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে মোষের দুধের থেকে শরীর সুস্থ রাখতে বেশি উপকারী গরুর দুধ। কেন তা জেনে নিন-
গরুর দুধের তৈরি ঘি
গরুর দুধের ঘি রঙ হয় হল্দেটে এবং এর হাজারো উপকারিতা রয়েছে যেমন-
গরুর দুধে তৈরি ঘি যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম আছে।
গরুর দুধে ক্যারোটিন ভিটামিন এ রয়েছে যা চোখ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি গরুর দুধের তৈরি ঘিয়ের অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গগাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা রয়েছে ।
গরুর দুধের ঘিতে ফ্যাট কন্টেন্ট বেশ কম। এই ঘি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ও বাচ্চাদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা কম করে এবং এটা সহজেই হজম হয়ে যায়।
গরুর দুধের ঘি-তে A2 প্রোটিন রয়েছে এই প্রোটিন মোষের দুধে থাকে না।
গরুর দুধের ঘি হার্ট ভাল রাখে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মোষের দুধের তৈরি ঘি
মোষের দুধে তৈরি ঘি দেখতে হয় সাদা রঙয়ের।
এই ঘি-তে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পোটাশিয়াম থাকে।
তবে এই সব উপকারী খনিজ পদার্থের পাশাপাশি মোষের দুধে তৈরি ঘি-তে ফ্যাট থাকে প্রচুর পরিমাণে।
গরুর দুধের ঘি-র তুলনায় মোষের দুধের ঘি-র উপকারিতা কম থাকলেও সর্দি কাশি, গিঁটের ব্যথার ক্ষেত্রে উপকারী এবং অ্যান্টি এজিং কার্যকারিতাও রয়েছে।