পৌষ পার্বণ মানেই পিঠে পার্বণ। ভিন্ন ধারণে পিঠে দেখে জিভে জল চলে আসলেও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুগার রোগীদের এসব খাওয়া বারণ। ঘ্রাণে অর্ধ ভোজন হলেও পেট অবদি পৌঁছবেনা পিঠে। ফলে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু নিয়মে যদি পিঠে বানানো হয় তাহলে আপনি পেট ভরেই পিঠে খেতে পারবেন।
চিকিৎকের কথায়, পৌষ পার্বণে পিঠে খেতে সবাই পছন্দ করেন। সেখানে রোগীকে বারণ করাটাও ঠিক নয়। কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। পিঠে, পুলি খেতেই পারেন তবে সবাই নয়। বরং ডায়াবিটিসের রোগীদেরও দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথমেই দেখে নিতে হবে, ডায়াবিটিস (Diabetes) রোগীর অবস্থা কতটা গুরুতর। রোগীর সুগার থাকলেও তিনি কতটা নিয়ম মেনে জীবনযাপন করেন। কিছু রোগীরা ততটা নিয়ম মেনে জীবনযাপন করেন না। ফলে সারা বছর ধরেই সুগার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। যারা নিয়ম মেনে চলেন চাইলে এক আধদিন পিঠে খেতেই পারেন। এতে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু যারা নবম মানেন না তাঁদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমনকি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হতে পারে। যাদের ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের জন্য সুগার ফ্রি দিয়ে পিঠে বানিয়ে খেতে হবে।
আরও পড়ুন, মুখ ভর্তি ব্রণ হবে উধাও, জানুন এই টোটকা
সুগার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করতে হয়। সুগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হল রক্তের এইচবিএ১সি (HbA1c) এর মাত্রা। মাত্রা যাদের ৫.৭ শতাংশের নিচে থাকে, তাঁদের সুগার নেই। যাদের রক্তে এইচবিএ১সি (HbA1c) মাত্রা ৬.৪ শতাংশের বেশি, তারাই ডায়াবিটিস রোগী। এবারে কোনও রোগীর এইচবিএ১সি (HbA1c) মাত্রা বছরভর ৮ থেকে ৯ শতাংশ থাকলে তাঁর সুগার অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রয়েছে। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে হলেও সেক্ষেত্রে তাঁদের পৌষ পার্বণেও কিছু করার নেই। এই দিন মিষ্টি খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই পৌষ পার্বণ হলেও বুঝেশুনে খেতে হবে মিষ্টি। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা এসব না খেলেই ভালো। আর যাদের সুগার নিয়ন্ত্রণে, তাঁরা অল্প পরিমাণে মিষ্টি খেতেই পারেন।
আরও অন্য খবর দেখুন