চড়া রোদ সঙ্গে নাজেহাল করা গরমে ওষ্ঠাগত মানুষের প্রাণ। কাঠফাটা গরমের হাত থেকে বাঁচতে কিছুটা দিন নিরিবিলি শান্তিতে কাটাতে চান। তাহলের আজকের প্রতিবেদন আপনাদের জন্য আদর্শ। ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পঙের নির্জন গ্রাম সামালবং। দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ের মধ্যে এবার আপনার বেড়ানোর ডেস্টিনেশন হতেই পারে কালিম্পংয়ের (Kalimpong) সেই গ্রাম সামালবং( Samalbong)।
পাহাড়ের একধারে গড়ে উঠেছে সামালবং। আর অন্যদিকেই খাদ। গ্রাম জুড়ে মেঘেদের আনাগোনা। ঘন সবুজে ঢাকা চারিপাশ। কিন্তু সামালবংয়ের উপরে দাঁড়ালে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার সুযোগ। পাহাড়ের সহজ সরল মানুষ। মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়। গ্রামের একদম উপরে হেঁটে গেলে দেখা মেলে কালিম্পং আর কাঞ্চনজঙ্ঘার। যে দিকে তাকাবেন দেখতে পারবেন সামনেই তুষারবৃত্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা। সামালবংয়ের বুকে দাঁড়িয়ে কালিম্পং শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে পাবেন। নীচে দিয়ে অজস্র বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে রেলি নদী।
দার্জিলিং থেকে আরও ৩৫ কিলোমিটার এগিয়ে পৌঁছে যান সামালবংয়ে। যদিও এই পাহাড়ি গ্রামে দার্জিলিং (Darjeeling) জেলায় হলেও, কালিম্পংয়ের খুব কাছে অবস্থিত। কিন্তু সামালবং জুড়ে রয়েছে চাষজমি। ধান থেকে শুরু করে আদা, এলাচ, ভুট্টা সব কিছুই চাষ হয় সামালবংয়ের পাহাড়ে। পাহাড়ের ঢাল কেটে তৈরি হয়েছে চাষজমি। তারই মাঝে একটা-দু’টো করে বাক্সবাড়ি। বছরের সব সময়ই আসা যায় এখানে। তবে প্রথম বৃষ্টি যখন পড়বে তখন এলে মজাই আলাদা। এক অন্যরকম অনুভূতি।
এই সামালবংয়ে রাতে থেকে চারখোল গ্রাম, ঝান্ডি সানরাইজ পয়েন্ট, ডাপলিং ভিউ পয়েন্ট, লোলেগাঁও ঝুলন্ত ব্রিজ, সেলফিদাঁড়া ঘুরে আসতে পারেন। চাঁদের আলোয় ভাসছে চারপাশ। স্বপ্নের মতো লাগবে ওই মায়াবী আলোকে। ইচ্ছা হলে দুপা হেঁটে আসুন। কাছেই ভিউ পয়েন্ট। সঙ্গে একটা টর্চ রাখলে ভালো হয়। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখুন গোটা কালিম্পং শহর যেন আলোর মালা পড়ে শুয়ে রয়েছে। এটাই নেকলেস পয়েন্ট।
কী ভাবে যাবেন
এনজেপিতে থেকে সরাসরি গাড়িতে ৭০ কিমি দূরে সামালবং। অনেকে শেয়ার গাড়িতে আসেন। আবার কালিম্পং এসে সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে ২৭ কিমি দূরে সামালবং। ঘুরে আসতে পারেন গরমের ছুটিতে।