ঋতু পরিবর্তন, অতিরিক্ত সান এক্সপোজার, একাধিক কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট কিংবা নিয়মিত যত্নের অভাব- যে কোনও কারণেই নিজস্ব জেল্লা হারিয়ে, প্রাণহীন, জৌলুসহীন ও ভঙ্গুর প্রবণ হয়ে যেতে পারে চুল। আর বলা বাহুল্য স্বাস্থ্যহীন চুল শোভা কমিয়ে আনে আপনার মুখমন্ডলেরও।
প্রাণহীন ও ভঙ্গুর চুলের সমস্য নিয়ে যদি আপনারও হয় তা তা হলে বরং কাজে লাগান ডার্মেটোলজিস্ট ডাঃ আঞ্চল পন্থের চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার এই সব উপায়। বাজারে থেকে চুলের যত্ন নিয়ে হাজার একটা সামগ্রী কিনে পকেট না পুড়িয়ে বরং এই সব উপায় ও কিছু ঘরোয়া টোটকায় এই ভাল রাখুন চুলের স্বাস্থ্য।
প্রত্যেক ছ’সপ্তাহ অন্তর চুল ছেঁটে নিন
চুল সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিংবা শুষ্ক হয়ে গেলে তা হেয়ার সেরাম ব্যবহারে অনেকটাই ভাল হয়ে যায়। তবে চুল যদি দু’মুখো হয়ে পড়ে কিংবা চুলের টেক্সচার যদি বদলে যায় তা হলে কিন্তু উপায় চুলের ওই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কেটে ফেলা। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই কথা জানিয়েছেন ডাঃ আঞ্চল পন্থ। না হলে এই দু’মুখো চুল আপনার চুলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে। আর এই অংশের চুলের মতো বাকি চুলও ভঙ্গুর প্রবণ হয়ে পড়ে।
প্রত্যেকবার মাথার চুল ধোওয়ার পর ভারী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু ব্যবহারের পরই ভারী কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এর ব্যবহারে চুল পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পাবে ও চুলের হারানো জেল্লা ফিরে আসবে। ক্ষতিগ্রস্ত চুল পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টি পেয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
প্রত্যেক সপ্তাহে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন
চুল ভাল রাখতে একটা হেয়ার কেয়ার রুটিন মেনে চলুন। এই রুটিনে অবশ্যই হেয়ার মাস্ক রাখুন। এবং প্রত্যেক সপ্তাহে এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। চুল পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান এই সব ক্ষেত্রই এই হেয়ার মাস্ক ভীষণ কার্যকরী। ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এই হেয়ার মাস্ক।
ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করুন
ভেজা চুল আঁচড়ানোর আগে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করুন। এই হেয়ার সেরাম চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার থেকে আঁটকায়। পাশাপাশি শুষ্ক চুলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা জোগায়। চুল ধোওয়ার পর কয়েক ফোঁটা সেরাম হাতে নিয়ে ভেজা চুলের ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে ফেলুন।
(ছবি সৌ :Unsplash)