ব্রণ হোক কিংবা ব্রণর দাগ ছোপ, রোদে পুড়ে ত্বকে জ্বালা, রাশ কিংবা পিগমেনটেশনের সমস্যা। এই রকম এবং আরও অনেক ধরনের ত্বকের সমস্যার সম্মুখিন আমাদের সকলেকেই হতে হয়। আধুনিক জীবনযাপন, পরিবেশ দূষণ কিংবা স্ট্রেস ও টেনশনের প্রভাব সব থেকে আগে পড়ে আমাদের ত্বকে। আর তখনই নানা ধরনের ঘরোয়া এবং সহজ পদ্ধতিতে সমস্যার প্রতিকার পেতে ফেসবুক বা অন্যন্য সোশাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন অনেকেই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি।
সোশাল মিডিয়া ট্রেন্ডিং এরকমই কিছু বিউটি হ্যাকস রয়েছে। এগুলি ত্বকের সমস্যার প্রতিকার না করে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সেগুলো কি কি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানাচ্ছেন ডার্মেটোলজিস্ট ডা আঁচল পন্ত। যেমন-
View this post on Instagram
ডার্ক স্পটে পাতিলেবুর রস লাগানো ভাল
এই ধারণা আজকের না তবে এতে তেমন কাজ হয় না বলে জানাচ্ছেন আঁচল পন্ত। এটা ঠিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে ভাল কাজ করে লেবু। তবে এটা ত্বকে দীর্ঘদিন লাগালে ত্বক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। এর ফলে রোদে বেরোলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের গায়ের রং তামাটে তাঁরা এই ঘরোয়া টোটকা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে সমস্যায় পড়বেন।
বাহুমূলের রঙ পরিষ্কার করতে বেকিং সোডার ব্যবহার
ত্বকে বেকিং সোডা একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়, তা যে কোনও অংশেই হোক না কেন বলে সাবধান করেন ডাঃ আঁচল।
ব্রণ সারাতে টুথপেস্টের ব্যবহার
এই কাজটাও একেবারে নৈব নৈব চ। ডাঃ পন্ত জানাচ্ছেন এতে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। এমনিতেই ব্রণ হওয়া মানেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে টুথপেস্ট লাগানো মানে এই ত্বকের আরও বেশি করে ক্ষতি করা। এর ফলে যেটা হবে সেটা হল ব্রণ সারতে আরও বেশি সময় লাগবে। আর সেরে গেলেও মুখে দাগ রেখে যাবে যা সহজে যাবে না।
তিল বা আঁচিল সারাতে চুনের ব্যবহার
এই ভাবে তিল বা আঁচিল একদম সারাতে যাওয়া ঠিক না। এর ফলে ত্বকে বিশ্রি দাগ হয়ে যেতে পারে।
ব্রণ সারাতে বেটনোভেটের ব্যবহার
এই ধরনের হাজারো ভিডিও ইউটিউবে গেলেই আজকাল দেখা যাবে। এই সব ভিডিওতে ব্রণ সারানোর বা ফর্সা হতে নানা রকম টোটকা কিংবা স্টেরয়েডের ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। এই কাজ একদমই করা ঠিক নয়। কোনও স্টেরয়ডের ব্যবহার চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ না করে নেওয়া উচিত নয়। এই ধরনের স্টেরয়েডের ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং মুখের রক্ত সরবরাহকারী গ্রন্থিগুলো আরও বেশি করে ফুটে ওঠে এবং ব্রণর সমস্যা দ্বিগুন হয়ে যায়।
তাই ইন্টারনেট ঘেটে কোনও ঘরোয়া প্রতিকার করার পথে হাটার আগে ভাল করে বিষয়টা বুঝে নিন। সতর্ক এবং সচেতন থাকুন। সব থেকে ভাল হয় চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে কাজ করা।