গ্রীষ্মে ঘামের গন্ধ বেড়ে যায় অনেকেরই। আর সেই কারণেই অনেকে ডিওডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করেন। বেশি ফল পেতে অনেকে আবার এগুলি সরাসরি ত্বকের প্রয়োগ করেন। এই অভ্যাস আপনাকে বড় বিপদে ফেলবে।
পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট হল সুগন্ধি তেলের সাথে অ্যালকোহলের মিশ্রণ। ডিওডোরেন্ট বোতলগুলিতে সুগন্ধি তেল থাকে, যা হয় রাসায়নিকভাবে তৈরি। নয়তো প্রাকৃতিকভাবেও পাওয়া। তারপর এই তেলগুলিতে অ্যালকোহল মিশিয়ে বোতলে ভরা হয়। অ্যালকোহলের কাজ হল এই তেলগুলির সংরক্ষণ করা। এই রাসায়নিকে ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে, যা ত্বকে জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চুলকানি হতে পারে। অ্যালার্জির ভয়ও থাকে।
অ্যালকোহল ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে ফলে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। এতে ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও ডিওডোরেন্টে থাকা নিউরোটক্সিনগুলি স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে। ত্বকে ক্ষত বা ঘা হতে পারে এর ফলে। সেখানে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে পারে। এগুলিতে উপস্থিত কিছু রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এতে ক্যানসারের মতো বড় অসুখও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন, এক চুমক পান করলেই কমবে ডায়াবেটিস!
অ্যালজাইমারের কারণ হতে পারে ডিওডোরেন্ট। এতে থাকা রাসায়নিক অ্যালজাইমারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলি শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করতে পারে। এর তীব্র গন্ধের কারণে নাকের ফাইবারগুলিরও ক্ষতি হয়। তাই এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। একই সঙ্গে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে জামাকাপড়ে ব্যাবহার করতে পারেন। যদি ত্বকে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় না থাকে, সেক্ষেত্রে এটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগের আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ননি। তার উপরে ডিওডোরেন্ট। ত্বকে প্রয়োগ করার পরে ঘষবেন না। তাতে এটি ত্বকের ভিতরে চলে যেতে পারে।
বেশ কিছু সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বেশি মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অ্যালজাইমার্স হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় ডিওডোরেন্ট। নিয়মিত সুগন্ধি ডিও ব্যবহারের ফলে কিডনির ক্ষতিও হতে পারে। ডায়ালেসিস রোগীদের জন্যতো মারাত্মক ক্ষতিকারক এই লিক্যুইড। তাই কিডনি বাঁচাতে এড়িয়ে যান ডিওডোরেন্ট। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক এই উপাদান।
আরও অন্য খবর দেখুন