কলকাতা: শীতের আবহে বড়দিন মানেই ডিসেম্বরে ২৫ তারিখ (Christmas)। প্রভু যীশুর জন্মদিন উদযাপন করা হয় এইদিনেই। ইতিহাস অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহেম নগরে মা মেরির কোলে জন্মেছিলেন প্রভু যীশু (Lord Jesus)। অনেকে বলেন, ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয়। তাই অনেক খ্রিস্ট ধর্মালম্বী মানুষ ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর ৫টা, অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা যীশুর জন্মদিন পালন করেন। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন, যীশু হলেন ঈশ্বরের পুত্র। মানুষকে সমস্তরকম পাপ থেকে মুক্তি দিতে ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছেন এই ধরাধামে।
খ্রিস্টান রাজা কনস্ট্যানটাইন প্রথম এই দিনটি যীশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ২৫ ডিসেম্বর প্রভু যীশুর জন্মদিন বা বড়দিন হিসাবে উদযাপিত হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু দেশ আছে যেখানে বড়দিন পালন করা হয় ২৫ ডিসেম্বরের ১৩ দিন পরে।
আরও পড়ুন: কীভাবে জিমেল থেকে একসঙ্গে সব ইমেল ডিলিট করবেন?
মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু দেশে যীশুর জন্মদিন পালিত হয় জানুয়ারির ৬ কিংবা ৭ তারিখে। এর মূল কারণ হচ্ছে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ গ্রেট ইয়ার ক্যালেন্ডার (Great Year Calendar) মেনে বড়দিন পালন করলেও এইসব দেশের মানুষরা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার (Julian calendar) অনুসরণ করেন। রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি দেশে ৭ জানুয়ারি পালন হয় বড়দিন। কারণ এইসব দেশ জুলিয়ান বা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলে। আবার আর্মেনিয়ান ক্যালেন্ডার (Armenian calendar) যাঁরা মেনে চলেন তাঁরা ৬ জানুয়ারি বড়দিন পালন করে থাকেন বলেই জানা যায়। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই এই নিয়ম, এমনটাই মনে করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: এআই থেকে সাবধান হবে যেভাবে
প্রসঙ্গত এই দিনটিকে ‘বড়দিন’ আখ্যা দেওয়ার পিছনে রয়েছে ভৌগলিক ব্যাখ্যা। উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ অয়নান্তের কারণে ২৩ ডিসেম্বর থেকে দিন বড় আর রাত ছোট হতে থাকে। তাই ২৫ ডিসেম্বরকে ‘বড়দিন’ বলে আখ্যা দেন অনেকে।
দেখুন আরও অন্য খবর