আপনার ত্বকের ধরণ তৈলাক্ত তাই সবসময়-ই ব্রণ কিংবা ফুসকুড়ির আতঙ্কে ভোগেন। ক্লেনজিং থেকে স্রাবিং, নিয়ম মেনে ত্বকের পরিচর্যা করেন। রোমকূপে অতিরিক্ত তেল ময়লা জমে যাতে বিপদ না বাড়ে সেই দিকে সমানে নজর রাখেন। কিন্তু এত কিছু করেও তৈলাক্ত ত্বক যেন আরও বেশি তেলে তেলে হয়ে যাচ্ছে। আজকাল এত নতুন রকমের বিউটি ট্রেন্ডস বাজারে চালু আছে যে কোনটা উপকারী আরও কোনটা অপকার। তার বিভেদ না করেই আমরা নিত্যনতুন রূপচর্চার এই ধরণ নিয়ে মেতে উঠি। কোনও কিছু শুরু করার আগে খুব ভাল হয় যদি ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে কাজ করা যায়।
তবে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এই ভুল কাজগুলি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার সমস্য
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে সমস্যা বাড়বে
আপনি নিজে শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা না দিলে তা শরীর নিজেই জোগাড় করার চেষ্টা করবে। এর ফলে আমাদের শরীরে থাকা সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড গুলো ট্রিগার হবে বা জেগে উঠবে। আর তা হলে প্রয়োজনের থেকে বেশি তেল নিঃসরণ হবে। আর এই বাড়তি তেল আপনার ত্বককে আরও বেশি তৈলাক্ত করে তুলবে।
ভুল এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার
ত্বকের পরিচর্যায় একগুচ্ছ এসেনেশিয়াল অয়েল বাজারে উপলব্ধ আছে। তবে এগুলির মধ্যে থেকে আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সঠিক তেল বেছে নিলেই উপকার পাবেন। না হলে উল্টে ত্বকের সমস্যা বাড়বেন। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক যাদের তাঁরা রূপচর্চায় নারকেল তেলের ব্যবহার করবেন না।
ময়শ্চারাইজারের ব্যবহার না করা
ভুল ময়শ্চারাইজারের ব্যবহার বা ময়শ্চারাইজারের ব্যবহার না করা একেবারেই ব্যবহার না করলে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের তাঁরা অনকেই মনে করেন ময়শ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই । এটা খুবই ভুল ধারণা। প্রত্যেক ত্বকের ময়শ্চারাইজারের প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার জেল বেস্ড, ক্রিম বেস্ড কিংবা ওয়াটার বেস্ড বেছে নিতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ওয়াটার বা জেল বেস্ড ময়শ্চারাইজার ভাল কাজ করে।
কোমিওডোজেনিক কসমেটিক্সের ব্যবহার
কোমিওডোজেনিক কসমেটিক্সে হল এমন ধরনের মেকআপ সামগ্রী যা ব্যবহারের ফলে রোমকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। তাই মেকআপ সামগ্রী কেনার সময় এই বিষয়গুলো দেখে নিন।
সঠিক পুষ্টির অভাব কিংবা হরমোনে বদল
বেশি তেল যু্ক্ত কিংবা প্রসেস্ড খাবার খেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। তাই সুষম ও পরিমিত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। এর ফলে হরমোনের কাজে সমস্যার সৃষ্টি হয় না। কারণ হরমোনের তারতম্য ঘটলেই তেল নিঃসরণ বেড়ে যাবে।