কৈশোরে ত্বকের সমস্যায় পড়তে হয়নি। যখন আপনার বন্ধুবান্ধবরা ত্বকের ব্রন ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে জেরবার, তখন আপনার ত্বক ছিল তাঁদের কাছে রীতিমতো ঈর্ষণীয়। কৈশোরের গণ্ডি সেই কবেই পার করেছেন আর এত বছর পরে আপনাকে বিব্রত করতে হানা দিয়েছে ব্রন। পুরুষ কিংবা মহিলা যেই হোক না কেন, ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না-করলে যে কোনও সময় ব্রন-সহ ত্বকের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে এই সমস্য হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নিত্যদিনের ত্বকের ভুল অভ্যাসের কারণে এই সমস্যা হয়। যেমন-
হাই-কার্ব খাবার খেলে ব্রন বা ফুসকুড়ির সমস্যা হতে পারে
অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি বা কার্ব, যেমন জাঙ্ক ফুড বা ডেয়ারি প্রোডাক্ট, চিপস, চকোলেট, আইসক্রিম খেলে ব্লোটিং বা ব্রনর সমস্যা হতে পারে। তাই সুষম আহার খেতে হবে যাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। সেগুলি খেলে শরীর ভাল থাকবে। মুখে ব্রনর সমস্যা হবে না।
বিশেষ কিছু ওষুধ খেলে ব্রনর সমস্যা হতে পারে
বিশেষ কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরের হরমোন লেভেল প্রভাবিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখে ব্রন বা ফুসকুড়ির মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।
ওয়ার্ক আউটের পরে স্নান না করলে সমস্যা হবে
ওয়ার্ক আউটের সময় টাইট জামাকাপড় পরলে এবং পরে স্নান না করলে অ্যাকনে মেকানিকা নামে এক ধরনের ব্রন সৃষ্টি হয়। কারণ ওয়ার্ক আউটের ফলে শরীরের গরম ও ঘাম মিশে ব্যাক্টেরিয়া জন্মায় ও খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তাই ওয়ার্ক আউটের শেষে আপনি যতই ক্লান্ত থাকুন, স্নান না করলেই সমস্যা।
অতিরিক্ত রোদে থাকতে হলে
কোনও কারণে বা আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী দিনের বেশিরভাগ সময় যদি বাইরে কাটাতে হয় সেক্ষেত্রে আপনার ত্বক ব্রনপ্রবণ হয়ে পড়ে। রোদে পোড়া ত্বক মানে বাড়তি মৃতকোষ যেগুলি ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র বন্ধ করে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর বাড়তি রোদ মানেই অতিরিক্ত ঘাম। এতে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্তে আরও বেড়ে যায় ব্রনর সমস্যা।
ঘুম ও শারীরিক কসরতের অভাবে
ঘুম কম হলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়ায়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এবং এই কারণে অ্যাকনের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে যদি দিনে অন্তত দু’বার আপনি শারীরিক কসরত করেন তা হলে এই হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর ফলে ব্রন ও ফুসকুড়ির সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(ছবি সৌজন্য: Pexels)