কলকাতা: করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড নিয়ে গবেষণা করে এবার বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে ভারত সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর কোয়েম্বাটুরে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডস অন ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন’ – এর স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠান। সেখানেই পুরস্কৃত করা হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা মথুরাপুরের ছেলে শুভাশিস নাটুয়াকে।
আরও পড়ুন-করোনার কারণে শতাধিক কয়েদীকে মুক্তির সিদ্ধান্ত রাজ্যের
বিজ্ঞানী শুভাশিস নাটুয়ার ছাত্র জীবন কেটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে। বাবা-মা দুজনেই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ছোট থেকেই মেধাবী শুভাশিস বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু আর্থিক অনটন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ২০১২-তে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর তাঁর স্কুলের উদ্যোগে বেশ কয়েক জায়গা থেকে বৃত্তি জোগাড় করে তাঁকে ভোপালে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা আইসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পাঠানো হয়। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গবেষণা করে তাঁক লাগিলেন দিয়েছেন শুভাশিস। ক্যানসার নিয়েও গবেষণা করেছেন। করোনা অতিমারিতে যখন গোটা বিশ্ব বেসামাল তখন ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এগিয়ে আসেন শুভাশিস। করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড যখন তৈরি হচ্ছিল তখন গবেষণার জন্য ডাক পান। দেশ-বিদেশে যে ভ্যাকসিন এখন করোনা প্রতিরোধে পুরোদস্তুর ব্যবহার হচ্ছে। সেই কাজের জন্য এবার ভারত সরকারের কাছ থেকে অনন্য স্বীকৃতি পাচ্ছেন শুভাশিস নাটুয়া। ওই স্বীকৃতি পাওয়ার কথায় তাঁর পরিবারের মতোই খুশি শুভাশিসের স্কুলও। কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রাধান শিক্ষক চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, এ সাফল্য শুভাশিস-সহ গোটা বাংলা, গোটা দেশের।
আরও পড়ুন-পিছিয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার অনুষ্ঠান
গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজে একাধিকবার বিদেশ গিয়েছেন শুভাশিস। একটা সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাও করেছেন। বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলা আগেও দেশ তথা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। সেই ধারাকেই বহন করে চলেছে বাংলার কৃতী ছেলে শুভাশিস নাটুয়া।