শীতকালে স্নান নিয়ে অনেকের অনেক মত। কেউ কেউ শীতের কটা মাস গরম জল ছাড়া স্নান করার কথা ভাবতেই পারেন না। আবার অনেকে ঠাণ্ডা জলেই স্নান করে নেন। গরম জলে স্নানের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তবে একই সাথে রয়েছে অল্প বিস্তর অসুবিধাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত গরম জলে স্নান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে ফলে সুগার রোগীদের ক্ষেত্রে খুব উপকারি। নিয়মিত গরম জলে স্নান করলে ওজন কমে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম জলে স্নান করলে ঘুম ভালো হয়। এতে শরীর ঝরঝরে থাকে। সাথে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদপিন্ডকে সচল রাখতেও সাহায্য করে। তবে গরম জল একটানা ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। যারা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা গরম জল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। ত্বকের সমস্যার সাথে চুল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ফলে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত গরম জল আপনার চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা টেনে নেয়।
আরও পড়ুন, ডায়াবিটিসেও খেতে পারবেন মিষ্টি!
যে সমস্ত ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে গরম জলে স্নান করেন, ফার্টিলিটি কমে যাওয়ার ফলে সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ছেলেদের খুব বেশি গরম জল দিয়ে স্নান করা উচিত নয়। শীতকালে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে গরম জল। মেজাজ ভাল রাখতে গরম জলে স্নান করতে পারেন। গরম জলের উষ্ণতা, পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যাদের নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তাঁরা গরম জলে স্নান করলে উপকার পাবেন। গরম আর ঠান্ডা মিশিয়ে একটি সহনীয় তাপমাত্রার জল গায়ে ঢালুন। মেয়েরা বিশেষ করে শ্যাম্পু করার সময় যতটা সম্ভব কম গরম জল ব্যবহার করুন। শুষ্ক হয়ে পড়া ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা বডি অয়েল মাখুন।
তবে গরম জলে স্নান সবার শরীরের জন্য ভাল নয়। কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য এটি বড় সমস্যা হতে পারে। অনেকেরই এগজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা রয়েছে। তাঁদের জন্য গরম জলে স্নান বিপদের হতে পারে। যারা পিত্ত দশায় ভোগেন, তাঁদের ঠান্ডা জলে স্নান করা ভাল। আয়ুর্বেদেও এই সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। সকালের দিকে স্নান করলে গরম জল এড়িয়ে চলাই ভাল। এই সময় ঠান্ডা জলে স্নান করা ভাল। তবে বিকেলের দিকে স্নান করলে গরম জল নিন।
আরও অন্য খবর দেখুন