ওজন কমাতে চাইছেন কিন্তু ওজন কমানো তো আর মুখের কথা নয়! তার মধ্যে নানা মুনির নানা মত তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে ওজন কমানো একেবারে পাহাড় প্রমাণ কাজ। একদিনে সেটা হওয়ার নয়। তার মধ্যে ইদানীং ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ওজন কমানোর নানা রকমের যে সব উপায় রয়েছে তা দেখতে যতই সহজ লাগুক না কেন আখেরে কতটা কাজের তা বলা মুশকিল। অনেক ক্ষেত্রে আবার হিতে বিপরীতও হয়েছে। তাই সেই সব দেখে ওজন কমাতে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রদবদল করলে হয়ত পুষ্টির অভাব ঘটতে পারে। তাই সহজ পথের হাতছানি এড়িয়ে বরং সঠিক পথে ধৈর্য্য ধরে ওজন কমানো উচিত। তাই শরীরচর্চা ও সুষম আহারের পাশপাশি ওজন কমাতে বাড়তি সুবিধা পেতে বরং কাজে লাগাতে পারেন এই পানীয়গুলো।
মৌরি জল
মৌরি শরীরের ডিটক্সিফিকেশন করে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি পাচনক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং পেটের ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। এর ফলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে যায়। তাই রোজ রাতে এক চামচ মৌরি জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই মৌরি ভেজানো জল ফুটিয়ে ছেঁকে খেয়ে নিন। খালি পেটে এই জল খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
গ্রিন টি
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টির উপকারিতা আর কারও অজানা নয়। এটা শরীরের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে তরতাজা রাখে। তাই পারলে নিয়মিত চায়ের বদলে গ্রিনটি খাওয়ার অভ্যেস করলে শরীর ভাল থাকবে।
লেবু জল
ওজন কমাতে প্রাচীনকালের এই টোটকা ভীষণ কার্যকরী। পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এগুলো শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করতে সাহায্য করবে। তাই খালি পেটে গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয় খেলে উপকার পাবেন।
ভেজিটেবিল জুস
যে কোনও সবজিতেই ভিটামিন, প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ সহ প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর উপাদান থাকে। অনেক সময় রান্নায় ব্যবহারের ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায় আরও কার্ব বেড়ে যায়। তাই সঠিক পরিমানে পুষ্টি ও ফাইবার পেতে গাজর, বিটরুট, উচ্ছের রস খেতে পারেন। এই সব সবজি রস করে খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পায় আর কার্বের পরিমানও কমে। এর ফলে ওজন কমানো আরও সহজ হয়ে যায়।
ব্ল্যাক কফি
কফিতে ক্যাফেন থাকে, এটা শরীরে শক্তি সঞ্চার করে। এটা শরীরে মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রি ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্ক হিসেবে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। তাই ওয়ার্ক আউট করতে সুবিধে হবে। ব্ল্যাক কফি তাড়াতাড়ি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।
(ছবি সৌ: Unsplash)