চকোলেটের প্রেমে আপনি একেবারে হাবুডুবু? ডার্ক হোক বা হোয়াইট চকোলেট কিংবা চকোলেট দিয়ে বানানো যে কোনও ফিউসন ফুডও কোনও বাদ বিচার ছাড়াই পরম তৃপ্তিতে মুহূর্তে চেটেপুটে সাফ করে দেন। কিন্তু সেই আপনিও কোভিডকালে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে চূড়ান্ত ভালবাসার এই চকোলেটকেই যথাসম্ভব দূরে রাখছেন। কিন্তু কাজটা কি আদৌ ঠিক হচ্ছে? নিউট্রিশনিস্ট থেকে শুরু করে ডায়েটিশিয়ান সকলেই জানাচ্ছেন মাঝা সাঝে নয় পরিমিত পরিমাণে চকোলেট রোজ খেলেও ক্ষতি নেই উল্টে রয়েছে একাধিক লাভ। আজ ওয়ার্ল্ড চকোলেট ডে-তে রইল চকোলেট খাওয়ার উপকারিতার সেই সব কথা-
স্ট্রেস কম করে চকোলেট
কোভিডকালে বড়রা তো বটেই আজকাল স্ট্রেসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও। এ ক্ষেত্রে চকোলেট খুবই কাজের। মানব দেহে থাকা কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে আনে চকোলেট। বদলে হ্যাপি হরমোনসের এন্ডরফিন নিঃসরণ করে মন ভাল করে তোলে চকোলেট।
হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে হার্ট ভাল রাখতে ডার্ক চকোলেট বেশ কার্যকরী। নিয়মিন ডার্ক চকোলেট খেলে হার্ট ভাল থাকে। কারণ, অধিকাংশ ডার্ক চকোলেটেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভানয়েড নামক বিশেষ উপাদান। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বয়স্কদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা প্রতিরোধ করে।
ওয়েট ম্যানেজমেন্ট
চকোলেট খেলেই নাকি ওজন বারে, এই ধারণা এমন ভাবে অধিকাংশ মানুষের মধ্য রয়েছে যে ওয়েট লস জার্নি শুরু করার পর অনেকেই প্রথম কাজ যেটা করে থাকেন তা হল জীবন থেকে চকোলেট অসিত্ব একেবারে মুছে ফেলা। কারণ, অধিকাংশ মানুষই ভাবে চকোলেটের ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। কিন্তু হয় ঠিক এর উল্টোটা। ডার্ক চকোলেট খেলে ওজন বাড়ার বদলে বরং ওজন কমে। পরিমিত পরিমাণে চকোলেট ক্ষুধা কম করে এবং অসময়ের খাই খাই ভাবও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্বক ভাল রাখে
ত্বকের পরিচর্যায় আজকাল অনেকেই চকোলেটের মাস্ক বা অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করেন। তবে যেটা অনেকেই জানেন না তা হল শুধু মুখে লাগানো ছাড়াও যদি পরিমিত মাত্রায় চকোলেট খাওয়া যায় তাহলে ত্বক তরতাজা থাকে এবং ত্বকে তারুণ্য ফুটে ওঠে।
চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
চকোলেটের এত উপকারিতার অন্যতম কারণ হল এতে উপাদান হিসেবে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের নানা রকম ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হয় তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরিবেশে থাকা ফ্রি রেডিকেলস ও বর্জ্য পদার্থের প্রভাব পড়তে দেয় না।
তাই ডার্ক কিংবা হোয়াইট, চকোলেট নিশ্চিন্তে খান ভালবেসে খান। তবে যে কোনও পুষ্টিকর খাবার যেমন মাত্রাতিরিক্ত খেলে উল্টো ফল হয় তেমনটা চকোলেটের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বেহিসেবি হয়ে চকোলেট খাবেন না। আর ডার্ক বা হোয়াইটের মধ্যে বাছতে হলে ডার্ক চকোলেটকেই নিত্য দিনের সঙ্গি করুন। উপকার পাবেন।
হ্যাপি চকোলেট ডে!