রূপচর্চায় তেলের ব্যবহার শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। আর যাঁরা তেলের ব্যবহার করেন তাঁদের বেশিরভাগই নারকেলের তেলের ভক্ত। নারকেল তেল হাল্কা হওয়ার জন্য খুব সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। তাই অন্যান্য তেলের গুনের কখা আমরা তেমন মাথায় রাখি না। তবে রান্না বান্না থেকে শুরু করে ত্বক থেকে চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েলের কিন্তু যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। যেমন-
১) শুধু ত্বকের পরিচর্যায় খরচা করলে তো চলে না। চুলেরও এমন এক হাজার সমস্যা রয়েছে যার সমাধান করতে গেলে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হওয়ার উপক্রম। তা চুলের গোড়া আলগা হওয়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, জেল্লা হারিয়ে যাওয়া কিংবা একেবার শুষ্ক হয়ে যাওয়া। এই প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। মাথায় লাগানোর আগে তেল গরম করে নিতে হবে। এর পর চুলে ও চুলের গোড়ায় তেল লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করে নিন। তেল লাগিয়ে মাত্র ১০মিনিটের মালিশই যথেষ্ট। তেল লাগানোর আগের ও পরের তফাতটা নিজেই লক্ষ্য করবেন।
২) যদি ভুরু মাঝে মাঝে দেখবেন খুব ছোটো ছোটো ফাঁক থাকে তাহলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ভুরুর ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলবে অনেকটাই। খুব অল্প তেল আঙুলের মাঝে নিয়ে নিন। আঙুলগুলো ভাল করে ডলে তেল গরম করে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুরুতে এই তেল লাগিয়ে নিন।
৩)ফাঁটা ঠোঁট কিংবা ফাটা পা সারিয়ে তুলতে খুবই কাজে দেয় ক্যাস্টর অয়েল। বাজার থেকে আনা যে নামী দামী ব্র্যান্ডের লিপ বাম ও ফুট কেয়ার ক্রিমকে যে কোনও দিন টেক্কা দিতে পারবে এই তেল। প্রত্যেক দিন ভাল করে এই ফাটা জায়গুলো ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। ঠোঁট ও পা করে তুলবে নরম ও সুন্দর।
৪) প্যান্ডেমিককালে যেহারে বারবার সাবান ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করতে হচ্ছে তাতে হাতের চামড়া খসখসে শুষ্ক না হয়ে যাবে কোথয়া। কুছ পরোয়া নেহি, ক্যাস্টর অয়েলের মালিশে হাতের হারানো সৌন্দর্য্য খুব সহজেই ফিরিয়ে আনুন। অল্প তেল হাতে নিয়ে ভালে করে হাতের চেটো, তালু ডলতে থাকুন। প্রয়োজনে কিউটিক্যালসেও ব্যবহার করতে পারেন। নখের বেস শক্তপোক্ত হবে।