কলকাতা: চিকিৎসা শাস্ত্রে যত রকম অস্ত্রোপচার আছে তার মধ্যে জটিলতম মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার (Brain Surgery)। আর তা যদি কোনও সচেতন ব্যক্তির হয় তবে তো ঝুঁকি বেড়ে যায়। কলকাতা (Kolkata) শহরেই আছেন এমন এক সার্জন যিনি এরকম ১০০ জীবিত মানুষের সফল ব্রেন সার্জারি করে অনন্য মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন। তিনি অমিতাভ চন্দ, নারায়ণা হাসপাতাল, আর এন টেগোর হাসপাতাল, এবং মুকুন্দপুরের নিউরোসার্জারির সিনিয়র কনসালটেন্ট।
এক দশকেরও বেশি আগে ১৭ বছর বয়সি এক সাহসী তরুণীর ব্রেন টিউমারের (Brain Tumor) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ডাঃ চন্দের যাত্রা। সেখান থেকে আজ ১০০টি সফল অস্ত্রোপচার করে ফেললেন তিনি।
আরও পড়ুন: পালং শাক খাওয়া কতটা উপকারী জানেন?
জাগ্রত মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার এক নতুন ধরনের কৌশল। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন রোগীকে সচেতন রাখা হয় এবং তাঁদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে রিয়েল টাইম আপডেট দেখা হয়। যেসব ক্ষেত্রে টিউমারগুলি চলাফেরা, দৃষ্টি এবং কথা বলার ক্ষমতা চালনা করা মস্তিষ্কের অংশে প্রভাব ফেলে, নতুন এই পদ্ধতিতে সেখানেও পূর্ণ কার্যকারিতার দিকে নজর রাখা হয়। পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশে এই বিশেষ কৌশলের পথপ্রদর্শক হিসাবে পরিচিত ডাঃ চন্দ ২০১২ সালে এই অভিনব পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন, এবং তার সর্বশেষ কৃতিত্ব রোগীর স্বাস্থ্যের ফলাফলের উপর অসাধারণ প্রভাব ফেলে।
ডাঃ অমিতাভ চন্দ জানিয়েছেন, “এই কৌশলটি সাধারণ মস্তিষ্কের টিস্যুতে অসাবধানতাবশত আঘাতের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় যা সাধারণ অ্যানাস্থেশিয়ার মাধ্যমে সার্জারির ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক উদ্বেগ।” তিনি আরও বলেন, “সাধারণ অ্যানাস্থেশিয়ার মাধ্যমে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় জাগ্রত মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের পরে পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়। এমনকী যখন রোগীরা সাময়িক দুর্বলতা বা কথা না বলতে পারার মতো সমস্যার মুখোমুখি হন, তখনও আমরা দ্রুত পুনরুদ্ধার লক্ষ্য করি। এই ক্ষেত্রে সার্জন, অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট এবং রোগীর সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
দেখুন অন্য খবর: