পুষ্টিতে ভরা আমন্ড বাদাম যে কতটা উপকারী তা কোভিড পরবর্তীকালে আর কারও অজানা নেই। তবে জলে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে আমন্দ বাদাম খাওয়ার ফলে এর খোসায় থাকা গুরুতপূর্ণ পুষ্টিগুলো হাতছাড়া হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আমন্ড বাদামের সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে আমন্ডের আটা ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে আমন্ডের আটা নিঃসন্দেহ চমত্কার। কারণ বাদামের আটা যেমন গ্লুটেন ফ্রি তেমন আবার এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে। এইগুলো শরীর সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী। যেমন-
কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা
আমন্ডের আটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে ও গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই মিলবে। এটা নিয়মিত খেলে শরীরে জলের চাহিদা বাড়ে। শরীর পর্যাপ্ত জল পেলে সুস্থ থাকে। এর ফলে আমাদেক ত্বকও সুন্দর ও সতেজ থাকে।
অনিদ্রার সমস্যায় বেশ কাজের আমন্ডের আটা
আমন্ডের আটায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। শরীরে যদি একাধিক সমস্যার কারণে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায় তা হলে এই আটা খেলে উপকার পাবেন। যাঁদের এই সমস্যা আছে তাঁরা নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই উপকরণটি অবশ্যই রাখুন।
আরও পড়ুন:
শরীর চনমনে রাখে
আমন্ড বাদামের আটা খেলে শরীর গোটা দিন চনমনে থাকে। এতে ভাল পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তাই চট করে খিদে পায়না।
ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
আমন্ড বাদামের আটায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই উপকরণ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ইনসুলিন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই ডায়বিটিসের রোগীদের জন্য এই আমন্ড বাদামের আটা আর্শীবাদের থেকে কিছু কম না।
হার্টের সমস্যায় কার্যকরী
আমন্ড বাদামের আটা খেলে হার্ট অ্যাটাক (heart attack), হার্ট ফেলিওর (heart failure) ও স্ট্রোকের (stroke) মতো প্রানঘাতি সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। এটা শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
এই আটা শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্টেরল বার করে দেয় এর ফলে এটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেশ কার্যকরী। তা ছাড়া এটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখার কারণে বার বার খিদেও পায়না। এর ফলে সবমিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।