আবহাওয়ার পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে ত্বকে। যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ শুষ্ক ও ম্লান হয়ে যাচ্ছে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। এই অবস্থা যদি আপনার হয় তা হলে মন খারাপ না করে বরং ত্বকের জৌলুস ও পেলবতা ফিরিয়ে আনতে নিত্যদিনের রূপচর্চায় রাখতে পারেন এই ৬ তেল। এগুলো যেমন ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে তেমন আবার ত্বকে জীবাণু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখে । যেমন-
আমন্ড অয়েল (Almond Oil)
শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনই ত্বক ভাল রাখতেও দারুণ কাজ করে আমন্ড অয়েল। এই তেল ত্বকের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে। তাই নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই তেলে ভিটামিন এ বি ও ই(vitamin A,B and E) থাকায় এটা ত্বকের জন্য এত উপকারী।
নারকেল তেল (Coconut Oil)
নারকেল তেলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল কার্যকারিতা আছে। পাশাপাশি ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে এই তেল দারুন কাজ করে। এর ফলে ত্বকের একাধিক সমস্যায় এই তেল বেশ উপকারী।
অলিভ অয়েল (Olive Oil)
এই তেলে কী আছে আর কী নেই! এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন, প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ (মিনারেলস) ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই কারণেই বেশ কয়েকটি বিউটি প্রোডাক্টে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় অলিভ অয়েল। অ্যান্টি এজিং হিসেবেও এই তেল বেশ কার্যকরী। এটা ত্বক নরম, মসৃণ ও পেলব করে।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেন ব্যবহার করবেন অয়েল ক্লেনজার
সর্ষের তেল (Mustard oil)
রূপচর্চায় সর্ষে শুনে অনেকেই হয়তো নাক কুঁচকাবেন। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস। এই তেলের নিয়মিত ব্যবহারে ট্যান ও ডার্ক স্পটস কমে হয়ে যায়। ত্বক মসৃণ হয়। তবে বাজারে যে হারে ভেজাল সর্ষের তেল পাওয়া তা ভুলেও যেন মুখে মাখবেন না।
সূর্যমুখির তেল (Sunflower Oil)
এই তেলে বেশ ভাল মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। এই সব উপকরণগুলি ত্বক ভাল রাখতে খুবই উপকারী। এটা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে ও ব্রণ-ফুসকুড়ি কম করে।
জোজোবা অয়েল (jojoba oil)
এই তেলের একাধিক ওষুধি গুণ রয়েছে যা ত্বক ভাল রাখতে খুবই উপকারী। পাশপাশি এই তেল ত্বকের কোষ (skin cells) পুনরুজ্জবিত করে। তবে এগুলোর মধ্যে যে কোনও তেলই আপনি বাছুন না কেন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করে নেবেন।