বাসে, মেট্রোরেল, গাড়িতে, বাড়িতে যেখানেই দেখুন মুঠো ফোনে মুখ গুঁজে কম বেশি প্রত্যেকেই। কী আর করা যাবে প্রযুক্তির চমকে গোটা পৃথিবী যে এখন এই যন্ত্রে বন্ধ। তার সঙ্গে দোসর ল্যাপটপ। করোনাকালে ওয়ার্ক ফর্ম হোমে এই ল্যাপটপ আর ফোনই তো অস্ত্র। এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে ও ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকায় একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চোখ ও পিঠের। অনেকের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে হাঞ্চব্যাক বা হাইপারকাইফোসিসের সমস্যা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে কুঁজো বেড়িয়ে যাচ্ছে অনেকের।
চিকিত্সকদের ব্যাখ্যা, হাঞ্চব্যাক বা কাইফোসাসের সমস্যায় মেরুদণ্ডের উপরের অংশটা বেঁকে ইংরেজি অক্ষরের সি (C)-র আকার নেয়। কারণ, দীর্ঘসময় ধরে ভুল দেহভঙ্গির ফলে মেরুদণ্ডের উপরের অংশের থাকা থোরাসিক ভার্টিব্রে নামক হাড় ও গলার নীচের অংশের কিছু টিসুতে অ্যাবনর্মাল কার্ভ বা কুঁজের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মাথা সামনের দিকে বেশি ঝুকে গিয়ে এই কুঁজো বেড়িয়ে আসে। এবং কোনও নির্দিষ্ট লক্ষণ বা উপসর্গ নয় বরং ব্যক্তি বিশেষে এর লক্ষণ ও উপসর্গ আলাদা আলাদা হয়।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায়।
ঠিক কী কারণে এই হাঞ্চব্যাক?
ভুল দেহভঙ্গি এই সমস্যার প্রধান কারণ। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের কাজে করার সময় অনেকেরই খেয়াল থাকেনা। কখনও সোফায় শুয়ে বা বিছানায় আধশোয়া হয়ে কাজ করার করেন। আবার অনেক সময় অফিসে বা বাড়িতে নিয়ম মেনে ডেস্কটপের সেট আপ করা না হলেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন এই অভ্যাসের ফল হল এই হাঞ্চব্যাক প্রবলেম।
সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে?
তবে শুধুমাত্র ভুল দেহভঙ্গির কারণে এই সমস্যা হলে, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যায়াম ও সঠিক দেহভঙ্গির নিয়ম মেনে চললে সমস্যার সুরাহা হয়। এছাড়া কোর স্ট্রেংথেনিং এক্সারসাইজ যেমন সিট আপ, পুশ আপ ও অ্যাবডমিন্যাল ক্রাঞ্চ-র মতো ব্যায়াম নিয়মিত করলে এই হাঞ্চব্যাকের হাত থেকে রেহাই পাবেন। এছাড়াও চিন টাক, ওয়াল পুশআপস ও আপার ব্যাক স্ট্রেচ করতে পারেন।