শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের সন্দেশ! এ স্বাদের মজাই আলাদা। তবে শুধু তো স্বাদের জন্যেই নয় শরীর ভাল রাখতেও গুড় যে ভীষণ উপকারী সেটা কি আপনার জানা আছে? আমাদের দেশে তিন রকমের গুড় পাওয়া যায় তবে এরে মধ্যে আখের গুড়ের ব্যবহারও বেশি এবং সারা বছর এই গুড় পাওয়া যায়। এছাড়া নারকেলের রসে তৈরি গুড় ও খেজুরের গুড় রয়েছে। পীঠে পুলি, মিষ্টিতে এই গুড় ব্যবহার হয় তেমন শরীর ভাল রাখতেও এই তিন রকমের গুড় আলাদা আলাদা কারণে উপকারী। সেগুলি কি কি জেনে নিন-
আখের গুড়
খাদ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আখের গুড়ে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও জিঙ্কের মত বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের একটি গবেষণায় জানা গেছে নিয়মিত এই গুড় খেলে অ্যনিমিয়ার সমস্যা থাকবে না। এমনকি লিভার ডিটক্সিফিকেশনের কাজেও এই গুড় ভীষণ কার্যকরী। পাশাপাশি আমাদের শরীরর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে আখের গুড়।
খেজুরের গুড়
আখের গুড়ে মত খেজুরের গুড় কিন্তু সব জায়গায় পাওয়া যায়। মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়গ্রামেই এই গুড় পাওয়া যায়। খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি করা হয় গুড়। ইউনাইটেড নেশনের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী খেজুর গাছের রসে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মত পুষ্টিকর উপাদান থাকে। তাই খেজুরের গুড়েও এই উপাদান গুলি পাওয়া যায়। এছাড়া এই গুড় হল ন্যাচারাল সুইটনার। পাশাপাশি খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা হজম সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সাহায্য করে। পাশাপাশি এটা শরীরে এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ায়। কোনও আঘাত বা ব্যাথা হলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র এই এনডোরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ করে। তাই ঋতুশ্রাবের সময় খেজুরের গুড় বা পাটালী খেলে প্রচন্ড যন্ত্রণা ও স্টিফনেস থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যাবে।
নারকেলের গুড়
দক্ষিণ ভারতে নারকেলের তৈরি গুড় বেশি ব্যবহার করা হয়। নারকেলের রসে বেশ কিছু ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। এই আনফার্মেন্টেড নারকেলের রস থেকে এই গুড় বানানো হয়। এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন, পোটেশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী।