সানস্ক্রিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রীষ্মকাল তো বটেই শীতকাল ও বর্ষাকালেও সানস্ক্রিন না লাগিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই যেচে ত্বকের বিপদ ডেকে আনা। আপনিও তাই সানস্ক্রিন নিয়ে নিয়মের বাইরে হাটেন না। সানস্ক্রিন না মেখে কখনই বেরোন না, সঙ্গে নিয়েও বেরোন। সময় পেলে প্রতি দুঘন্টা অন্তর ফের একবার মুখে লাগিয়ে নেন। তবে আপনি শুধু কি মুখেই সানস্ক্রিন লাগান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে এই বিষয় সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মুখ বাদে শরীরের এই সব জায়গায় সানস্ক্রিন না লাগালে ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে বাধ্য। বেড়ে স্কিন ক্যানসারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। মুখের পাশাপাশি শরীরের এই অংশগুলিতেও তাই সানস্ক্রিন লাগানো ভীষণ প্রয়োজনীয়।
ঠোঁট
মুখে সব থেকে সংবেদনশীল ঠোঁট। তাই সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাব ঠোঁটের ওপর আরও বেশি পড়ে। তাই এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম বা আপনার সানস্ক্রিনের কিছুটা ঠোঁটে ডলে নিন।
চোখের পাতা
ত্বকের মতোই চোখের পাতার বয়স বাড়ে, চামড়া জড়ো হয়ে যায়। বলিরেখা পড়ে। তাই চোখের এই অংশেও সানস্ত্রিন লাগানো প্রয়োজনীয়। চোখে সানস্ত্রিন চলে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই এই অংশগুলো এড়িয়ে চলেন। কিন্তু সঠিক ভাবে চোখের পাতায় লাগালে অসুবিধে হবে না।
কানে
মেকআপের মতই মুখের পাশাপাশি কানেও সানস্ক্রিন লাগানো ভীষণ প্রয়োজনীয়। তাই মুখের পাশাপাশি কানের সামনে পিছনে ভাল করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। না হলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হাতে ও পায়ে
মুখে বা কানে সানস্ত্রিন লাগালেও অনেক সময় আমরা হাতে বা পায়ে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যাই। এই কাজ না করাই ভাল দীর্ঘক্ষণ সূর্যের ক্ষতিরকারক রশ্মি পড়লে হাত বা পায়ের ত্বকের ক্ষতি তো বটেই। স্কিন ক্যানসারের মত বাড়াবাড়িও হতে পারে। তাই হাত, হাতের আঙুল এবং একই ভাবে পায়ের পাতা ভাল করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
গলায়
মুখের পাশাপা॥শি গলাও অধিকাংশ সময়ে অনাবৃত থাকে। সেক্ষেত্রে রোদের প্রভাবে গলার চামড়া জরো হয়ে যেতে পারে। চামড় কুচকে বুড়িয়ে যেতে পারে। তাই গলার সামনে ও পিছনের অংশে ভাল করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
অধিকাংশ সময়ে শরীরের এই অংশগুলি আমরা অবহেলা করি। কিন্তু আর নয়। সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগেই সাবধান থাকা ভাল। এর পাশাপাশি রোদে বেরোলেই ছাতা, ক্যাপ কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। না হলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে মাথার ত্বক ও চুলের সমস্যা হতে পারে। সানস্ক্রিন কেনার সময়ে এসপিএফ ৩০ (SPF 30) বা তার বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ছবি সৌজন্য: Pixabay/ Unsplash