সৌন্দর্য অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয়৷ প্রত্যেকের কাছে সৌন্দর্যের পরিভাষাও আলাদা। আমরা প্রত্যেকেই নিজের মতো করে এই সৌন্দর্য বজায় রাখতে চাই। আর করোনা অতিমারির এই সময়ে, নিত্যদিন নিজেকে সুন্দর ও ভাল রাখার চেষ্টাই যেন একপ্রকার আমাদের মানসিক ভাবে সুস্থ রেখেছে। বর্তমানে চারদিকে যা অবস্থা, যে কোনও সময় নেমে আসতে পারে মনখারাপের কালো মেঘ। তাতে মনমরা হলে চলবে না, এই সব সময় নিজেকে আরও একটু বেশি ভালবাসুন। নিজের যত্ন নিন। চটজলদি বানিয়ে ফেলুন আপনার জানা রূপচর্চার ঘরোয়া কোনও মাস্ক৷ এক তুড়িতে নিজেকে করে তুলুন তরতাজা। এমনিতে বাজারচলতি অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডের সামগ্রী আছে, এতে ফলও পাবেন ভাল। তবে, ক্ষতি কী যদি কোনও খরচ না-করে, পার্লার বা সাঁলোয় না-গিয়ে ভাল ফল মেলে?
ঘরোয়া উপায়ে নিজেকে সুন্দর রাখতে প্রয়োজন শুধু এই তিনটি উপকরণ। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করতে চাইলে এই তিনটি উপকরণ কিন্তু না থাকলেই নয়।
রোজ ওয়াটার বা গোলাপ জল
আজকাল সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন সকলেই৷ সেক্ষেত্রে গোলাপ জল এমন একটা সামগ্রী, যা প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যায়। স্কিন টোনার হিসেবে আমরা অনেকেই গোলাপ জল ব্যবহার করি। তবে জানেন কি, ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও সমান কার্যকরী গোলাপের নির্যাস। ত্বদের আর্দ্রতা যেমন বজায় রাখে, তেমনি পরিষ্কার রাখে রোমকূপ। রূপচর্চায় গোলাপ জলের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হল, ত্বকের ধরন যাই হোক না কেন, গোলাপ জলের লাভ আপনি পাবেনই। রুক্ষ থেকে তৈলাক্ত, সব ত্বকেই সমান কাজ দেয়।
ভিটামিন ই
চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন ই-র অবদান প্রচুর। এটি এমন একটি উপাদান, যা আপনার ত্বকের সান প্রটেকশন ফ্যাক্টরের (SPF) সঠিক নির্ধারণ করে ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকে আপনার ত্বককে বাঁচায়। এর পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ব্রণর কারণে ত্বকে জ্বালা বা চুলকানির উপশম করে এবং ব্রণ ও দাগ-ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
আ্যলোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেলের অসীম ক্ষমতা কারও অজানা নয়। সত্যি বলতে কী, জেলটি এমন একটি উপকরণ যা একেবারে না-থাকলেই নয়। সানবার্নের পর ত্বককে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অ্যালোভেরা জেলের ক্ষমতা একেবারে বিস্ময়কর। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ভূমিকা খুব ভালো৷ব্রণ ও গোটার কারণে ত্বকে জ্বালার সমস্যার সমাধানে সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা সমান উপযোগী।