সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, আবহাওয়ার তারতম্য, দূষণ এবং স্ট্রেস। এই সবগুলির প্রভাব পড়ে আমাদের চুলের উপর। এর ফলে জৌলুস হারিয়ে চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। যত্নের অভাবে চুলের গোড়া হাল্কা হয়ে যায় এবং ঝরে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। যদিও এই সব সমস্যার সমাধানে বাজারে অসংখ্য সামগ্রী আছে। তবে তাতে যে সমস্যার সুরাহা হয়, তা নয়। উল্টে অনেক ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। তাই বাজারচলতি সামগ্রীর বদলে চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে ও লম্বা চুলের জন্য রইল এই সহজ উপায়ে, প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মাস্কগুলি। কমবেশি এই সবগুলিই আজকাল আমাদের রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
অ্যাভোকাডো ও কলার তৈরি মাস্ক
চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এই অ্যাভোকাডো যেন অমৃত। রুক্ষ চুল, ভঙ্গুর চুল, খুশকি কমাতে ও চুলের জেল্লা ফেরাতে, চুলের প্রায় সব সমস্যার সমাধান করতে পারে এই ফল। অ্যাভোকাডোতে আছে ওমেগা-৩, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি. ই ও বি৬। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, প্রাকৃতিক তেল, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন। তাই এই দু’টি উপকরণে তৈরি মাস্ক আপনার চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায়। এর ফলে চুল সতেজ ও সুন্দর হয়। চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলের ভঙ্গুরতা অনেকটাই কমে যায়।
এই মাস্ক তৈরি করবেন কীভাবে
ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দু’বার এই মাস্ক চুলে ব্যবহার করুন।
আমলকি, নারকেল তেল ও শিকাকাই গুঁড়ো দিয়ে তৈরি মাস্ক
এক কথায় আমলকিকে ভিটামিন সি-র খনি বললেই চলে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ও ফ্লেভ্যানয়ডস যা মাথার ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। এর ফলে চুলের দৈর্ঘ্য ও স্বাস্থ্য অনেকটা ভাল হয়। নারকেল তেল চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। এবং শিকাকাই চুলের গোড়া মজবুত করে।
এই মাস্ক তৈরি করতে প্রয়োজন
ভাল ফল পেতে সপ্তাহে একবার করে এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
ফ্ল্যাক্সসিড ও লেবুর রস দিয়ে তৈরি মাস্ক
ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির তেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে থাকে। এগুলি চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লেবুর রস মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেলভাব কমিয়ে খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এই মাস্ক তৈরি করতে প্রয়োজন
এই মাস্কটিকে চুলের নানাররকম স্টাইলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন বা সারারাতে মাথায় রেখে দিয়ে পরের দিন সকালে উঠে শাম্পু করে নিতে পারেন।
এই মাস্কগুলি ব্যবহারের ফলে অবশ্যই আপনার চুল সুন্দর হয়ে উঠবে। তবে এর পাশাপাশি প্রয়োজন ভাল খাদ্যাভ্যাসেরও।