ভাষা শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সমান মর্যাদা দিতে পেরেছিল। সালটা ১৯৫২, বর্তমান বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গোটা বঙ্গসমাজ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। যার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরতাজা পড়ুয়ারা।
ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সেদিন গুলি-বেয়নেটকে উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমেছিল। এরপরই শুরু হয় আন্দোলন। আন্দোলনের তেজ বাড়তে বাড়তে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (21 February)-তেই আন্দোলনরত ছাত্র ও সমাজ কর্মীদের উপর বর্বর পুলিশ গুলিবর্ষণে শহীদ হন রফিক, সালাম, আব্দুল জব্বার, শফিউল, বরকত-সহ অনেক তরুণ। এই দিনটি তারপর থেকেই শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার অঙ্গীকার হোক কোনও সাল-তারিখ না মেনেই
২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাব আনে বাংলাদেশ, যা সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। ‘মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা’- ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে লেখা শপথকে নতজানু হয়ে প্রণাম করার দিন (International Mother Language Day 2024)। এই দিনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলা ও বাঙালির একরাশ স্বপ্ন, আবেগ, আত্মত্যাগ, নিরলস সংগ্রাম এবং হার না মানা মনোভাবের কাহিনি।
আরও খবর দেখুন