বিদ্রোহী লিগে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া প্রধান তিন ক্লাবকে শাস্তি দিতে চলেছে ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা?
প্রস্তুতি তলায় তলায় চলছিল। কিন্তু সরকারি ঘোষণা হতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ফুটবলের “বিদ্রোহী টুর্নামেন্ট” ইউরোপিয়ান সুপার লিগ।
অতি আলোচিত এবং বিতর্কিত এই টুর্নামেন্টের ১২টি প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবের মধ্যে নয়টি ক্লাব ইতিমধ্যেই সরে দাঁড়িয়েছে। বাকি তিন ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস এখনও সুপার লিগ পক্ষ নিয়ে অনড়। আর এই সুপার লিগ চালুর চেষ্টায় অনড় থাকলেও এই তিন দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
এমন ধরনের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিল উয়েফা। তাতে কাজ না হওয়ায় এবার কড়া মনোভাবে শিক্ষা দিতে নামছে প্যারেন্ট বডি। রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানাল ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এই তিন “বিদ্রোহী” ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা আগে। তারপর সব খতিয়ে দেখে উয়েফার পক্ষ থেকে বলা হল , “সুপার লিগ নিয়ে উয়েফার লিগাল এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে স্পষ্ট উয়েফার আইনি কাঠামোর এবং সাংবিধানিক পরিকাঠামো লঙ্ঘন করতে চলেছে এই তিন ক্লাব। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তায় হাঁটা শুরু হয়েছে।”
সুপার লিগ থেকে সরে আসা নয়টি ক্লাব উয়েফার কাছে জরিমানা দাখিল করে আইনি ঝামেলা এড়িয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করবে না বলে অঙ্গীকার করে একটি আইনী কাগজে সই সবুদ করেছে ক্লাবগুলো। একই পথে না হাঁটায় এখন শাস্তির মুখে রিয়াল, বার্সা ও জুভেন্টাস। উয়েফার আইন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এক বা দুই মরশুমে জন্য ব্যান হয়ে যাওয়া। এই তিন ক্লাব সমর্থকরা চিন্তায়। এমনটা হলে দলে মেসি, রোনালদোর মতন তারকা ফুটবলাররা থাকবেন তো? আবার এই তিন ক্লাব কর্তারা ঘোষণা করে দিয়েছেন, ফুটবলের উন্নতিতে কোনও শক্তির সামনে মাথা নোয়াবে না। কোনও হুঁশিয়ারি তে ভয় পায় না।
শুরু হয়েছে এক বিচিত্র স্নায়ুর লড়াই।