কলকাতা: কড়া সওয়াল-জবাবের পর শেষ হল নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদলের আর্জি নিয়ে শুনানি৷ রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে৷ তবে মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর যে আবেদন তৃণমূল করেছিল তা বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলায় ভার্চুয়ালি যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে শুরু হয় নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি৷ প্রথম থেকেই বিচারপতি চন্দর এজলাসে মামলার শুনানি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল তৃণমূল৷ তাদের অভিযোগ, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে৷ একই অভিযোগ এদিন আদালতে করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷ তিনি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং আদর্শগত সম্পর্ক রয়েছে৷ আপনি বিজেপির লিগ্যাল সেলের প্রধান ছিলেন৷ বিজেপির হয়ে বিভিন্ন মামলায় আপনাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে৷’
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের জন্য খুলল দক্ষিণেশ্বর মন্দির
পাল্টা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকেও বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়৷ বিচারপতি চন্দ জানান, প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল তাঁর এজলাসে মামলা নির্ধারিত করেছেন৷ প্রধান বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক প্রধান৷ তাহলে তাঁর সিদ্ধান্ত সঠিক নয়? এটা কলকাতা হাইকোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত৷ এই সিদ্ধান্তকে মান্যতা না দিলে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা যাবে? তাছাড়া বিচারকের ভূমিকা আইনজীবীদের থেকে আলাদা৷