কলকাতা: অনিয়ম রুখতে কড়া হয়েছে রাজ্য সরকার। যশ বিধ্বস্ত এলাকা থেকে জমা পড়া আবেদনের প্রায় অর্ধেকই বাতিল করে দিল প্রশাসন। সূত্রের খবর, ৪৭.৬০ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে৷ গত এক মাস ধরে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। তারপর তা পরীক্ষা করে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজারের কিছু বেশি। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, কয়েক দিনের মধ্যেই উপভোক্তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।
যশের পর জমা পড়া আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে হতবাক প্রশাসন। ভুরি ভুরি ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বাড়িতে গবাদি পশু ছিল না। অথচ, আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাজ পড়ে গোরু মারা গিয়েছে। এরকম নানা নজির রয়েছে। পাঁচ জেলায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পে প্রায় চার লক্ষ্য আবেদন পড়ে৷ সেই আবেদন খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যার বিচারে বাতিল আবেদনের সংখ্যা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বেশি। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক লক্ষের মতো দুর্গত মানুষ এই ক্ষতিপূরণ পাবেন। পশ্চিমমেদনীপুরের সিংহভাগ আবেদনপত্রই ভুয়ো। পরিসংখ্য়ান বলছে প্রায় ৯২ শতাংশ আবেদন ভুয়ো। সূত্রের খবর, প্রায় ৩২ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ২৯ হাজার ৭০০ টি আবেদনই ভুয়ো। মাত্র ২ হাজার ৩০০টি আবেদনপত্র যথাযথ রয়েছে।
সংখ্যার বিচারে কম আবেদন বাতিল হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। ব্লকভিত্তিক হিসেব অনুযায়ী, সব থেকে কম বাতিল হয়েছে সন্দেশখালি ১ ও ২নম্বর ব্লকে। দুটি মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে মাত্র একটি। সন্দেশখালি ২নম্বর ব্লকে একটিও আবেদন বাদ দেওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলির মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে গোসাবায়। এখানে খুব সামান্য আবেদন বাতিল হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অত্যন্ত যত্ন করে সবদিক খতিয়ে দেখা হয়েছে৷