কলকাতা: ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় সম্পর্কের ৭৫ বছর, তাই আমেদাবাদ টেস্টের প্রথম দিনে শুধু চমকের পর চমক ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ একসঙ্গে স্টেডিয়ামে এলেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সারলেন। তারপর দুই দেশের অধিনায়ককে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ পরিয়ে দিলেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর মাঠ পরিক্রমা থেকে সেলফি, চায়ে পে চর্চা সবই হলো। সেই সঙ্গে আরও একটা প্রসঙ্গ প্রথম দিনের শেষে টক অফ দ্য টাউন হয়ে গেল।
সেটা কী?
এই কেএস ভরতের জন্য রাহুল দ্রাবিড় অ্যান্ড কোং ঋদ্ধিমান সাহা-কে বাদ দিয়েছিল? ক্রিকেটের ভাষায় যে ‘ললিপপ’ ক্যাচ ক্যারি করতে পারে না, সে কি করে ‘স্পাইডারম্যান’ ঋদ্ধির বিকল্প হয়? কিছুটা হালকা হলেও যেন ফের ঋদ্ধিকে ফেরাও ধ্বনি উঠে গেল আজকের প্রথম দিনের খেলার পর। ওঠারই কথা। কারণ, ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে উমেশ যাদবের শেষ বলে ট্র্যাভিস হেডের সহজ ক্যাচ যেভাবে ভরত ফস্কেছেন তা নিয়ে সমালোচনা হতে বাধ্য। এমনকী হেডের ব্যাটের কাণায় বলটা লাগার পর উইকেটের পিছনে যেভাবে ভরত নড়াচড়া করেন, তখন তাঁকে দেখে কোনও ভাবেই কনফিডেন্ট দেখায়নি। এরপর শামির বলে যে বাই রান হয়েছে, বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার হিসেবে ভরতের নড়াচড়া নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক।
আর এরকম ঘটনা ঘটলে যাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ভরতের জন্য, সেই ঋদ্ধিমান সাহা কিছু বলবেন এটা খানিকটা আকাশকুসুম কল্পনাও বটে। কারণ, ইন্ট্রোভাট ঋদ্ধিমান সহজে মুখ খোলেন না। আর বিতর্কিত সাবজেক্ট হলে তো একেবারই স্পিকটি নট। কিন্তু কলকাতা টিভি’র কাছে কেএস ভরতের কিপিং প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন ঋদ্ধিমান সাহা। কী বললেন তিনি একনজরে দেখে নেওয়া যাক –
কেএস ভরতের এদিনের কিপিং দেখে কী মনে হলো?
ঋদ্ধিমানের উত্তর, পুরো ম্যাচ দেখিনি। তবে কেউ কি ইচ্ছে করে এরকম কিপিং করবে? তবে আমার কিছু না বলাই ভালো। ফিল্ডিং কোচ আছেন তো, উনিই দেখে নেবেন
উমেশের বলে এককথায় ‘ললিপপ’ ক্যাচ ছাড়েন ভরত
কীরকম কন্ডিশন, কী মেন্টাল স্টেজে ভরত ছিল সেটা নিশ্চয় ফ্যাক্টর। তবে আমরা আইপিএলে একই টিমের হয়ে খেলি। সেখানে ওর সঙ্গে নিশ্চয় কথা বলব।
ভারতীয় দলে ফের যদি ডাক আসে
প্রথমত ডাক আসবে না, তবে যদি কিন্তু পরন্তু কোনও ভাবে ডাক আসে তাহলে নিশ্চয় পজিটিভলি ভেবে দেখব।
এককথায়, ঋদ্ধিমান সাহা কী বার্তা দিলেন, সেটা যদি সিলেক্টররা বোঝেন তাহলে ভারতীয় ক্রিকেটর জন্য ভালো ছাড়া খারাপ হবে না বলেই অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিচার করলে ঘরের ছেলে ঋদ্ধিমানের জন্য আমেদাবাদ কিন্তু আওয়াজ তুলল, বাকিটা সময় বলবে।