নয়াদিল্লি: চীনা আগ্রাসনকে প্রতিহত করে সিকিম এবং লাদাখে লাল ফৌজের আস্ফালন থামিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের বিনিয়োগ দেশের সেনাবাহিনীকে উন্নত ও শক্তিশালী করেছে৷ নইলে ডোকলাম (Doklam) এবং গালওয়ান (Galwan) হাতছাড়া হয়ে যেত ভারতের৷ এমনটাই জানিয়েছেন ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ লিউটেন্যান্ট জেনারেল সি পি মোহান্তি (Vice Chief of Army Staff Lieutenant General C P Mohanty)৷
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ছাড়াই আচমকা নির্মীয়মাণ সংসদ ভবন পরিদর্শনে মোদি
দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিরাপত্তাখাতে ভারত যদি বিনিয়োগ না করত তাহলে কার্গিল, ডোকলাম যুদ্ধে আমাদের হার হত৷ এমনকী জম্মু ও কাশ্মীরের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হত৷ উত্তর-পূর্বে অস্থিরতা দেখা হত এবং মাওবাদী সমস্যা মাথাচাড়া দিত৷’
ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ লিউটেন্যান্ট জেনারেল সি পি মোহান্তি৷ ছবি- সৌজন্যে টুইটার
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে তিনি তিব্বত এবং আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন৷ জানান, সেনাবাহিনীর ভূমিকা হল দেশের ভেতরে এবং বাইরে শান্তি বজায় রাখা৷ কিন্তু এজন্য সেনাবাহিনীর শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন৷ তিব্বতের সেনাবাহিনী যদি শক্তিশালী হত তাহলে সেখানে বাইরের শক্তি প্রবেশ করতে পারত না৷ আফগানিস্তানে শান্তি থাকলে সেখানে সমৃদ্ধি ঘটত৷
আরও পড়ুন: পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়, নতুন দল গড়ার ইঙ্গিত বিনয় তামাংয়ের
ডোকলাম এবং গালওয়ানে প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর আগ্রাসন প্রতিহত করে ভারত বিশ্বের সমীহ আদায় করে নিয়েছে৷ লিউটেন্যান্ট জেনারেল মোহান্তি বলেন, ‘আজ সবাই ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর কথা বলছে৷ বিশ্ব বুঝেছে বড় রাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারত হল নিরাপত্তার ছাতা (security umbrella)৷’ অন্য দেশের মত ভারতের সেনাবাহিনীর দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের সদিচ্ছা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷