ফ্যানো: ঘুড়ির মেলা। সংস্কৃতির বৈচিত্র্য। রংবেরংয়ের শিল্প। আকাশের দিকে এগিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। যার টানে সারা বিশ্বের ঘুড়ি প্রেমীরা হাজির।ফ্যানো আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসব (Fano’s international kite festival )। ফ্যানো (Fano) দ্বীপের আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উৎসবের সময় ডেনমার্কের (Denmark) পশ্চিম উপকূলে উত্তর সাগরের (North Sea) প্রবল বাতাস বয়ে আসে। যাতে হাজার হাজার ঘুড়ি (Kite) উড়ে যায়। যা সারা বিশ্বের ঘুড়ি উৎসাহীদের (enthusiasts) আকর্ষণ করে। এবারও সেই উৎসবে শামিল হাজার হাজার মানুষ।
ফ্যানো ডেনমার্কের পশ্চিম উপকূলে একটি ছোট্ট আইল্যান্ড। সেখানে ২০ হাজার রং বেরংয়ের ঘুড়ি আকাশে উড়ছে। বিভিন্ন ধরনের ছবি। ২০ মিটার লম্বা চীনা ড্রাগন ঘুড়ি আকাশে নাচছে। সেখানে মিকি মাউসও রয়েছে। উত্তর সাগর থেকে বাতাস বয়ে আসছে এক অদ্ভুত গতিতে। যার জন্যে বাতাসে এই সৃষ্টিশীল খেলা দেখা যাচ্ছে। এখানে দমকা হাওয়া দ্বীপ জুড়ে নির্বিঘ্নে ঝাড়ু দেয়। এটি ১৪ কিলোমিটার বিস্তৃত সৈকতকে ৫০০০ টিরও বেশি উচ্ছ্বসিত ঘুড়ি উড়ানোর জন্য একটি স্বর্গে পরিণত করে। বিশেষ করে চীনা ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ির শিল্প এবং কারুকাজ আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে। এখানে চাইনিজ কাইট মাস্টারদের মানুষ কাছ থেকে দেখতে পারেন। এবং বাঁশের চমৎকার কাজ দেখতে পারেন। সুইডেন একজন দর্শক অ্যান্ড্রিয়াজ আগ্রেন তাঁর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: UP | Heatwave | তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু নয়, যোগীরাজ্যে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
ঘুড়ি উৎসবে সাংস্কৃতিক সপ্তাহের উদ্বোধনে ফ্যানোর মেয়র ফ্রাঙ্ক জেনসেন বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে এই সংযোগকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। জাহাজ এবং ঘুড়ির মধ্যে সমান্তরাল মিল খুঁজে পাওয়াও সহজ। তারা উভয়ই বিশাল, রঙিন এবং বাতাসের উপর নির্ভর করে।
ঘুড়ির জন্য বাঁশের আকার দেওয়ার প্রাচীন কারুকাজ এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা ঘুড়ি চালনা করার শিল্প এখানে দেখা যায়। ফ্যানো আর্ট মিউজিয়াম একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করছে। যাতে ডেনমার্কের ন্যাশনাল মিউজিয়ামের সংগ্রহ থেকে নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়। যা সমস্ত ১৮ এবং ১৯ শতকের চীনের সঙ্গে যুক্ত। চীন এবং ফ্যানোর মধ্যে জটিল বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় উদযাপন করে এই ঘুড়ি ওড়ানোর অনুষ্ঠান। যা ধীরে ধীরে একটি দুর্দান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এমনই বলেছেন সোফি ভালবজর্ন। যিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ চায়না টু ফ্যানোর বোর্ডের চেয়ারম্যান৷