বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Bishnupur Super Speciality Hospital) এক প্রকার অচলাবস্থা। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে নোংরা (Dirty Environment), আবর্জনা। কর্মীরা কাজ করছেন না, ফলে সাফাই হচ্ছে না। যেখানে সেখানে পড়ে আছে খাবারের প্যাকেট (Food Packet)। দুর্গন্ধ (Bad Smell) ছড়াচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর (Unhealthy) পরিবেশ সব মিলিয়ে। কাউকে বলার নেই। বললেই একটা জবাব শোনা যাচ্ছে, কর্ম বিরতি (Strike) চলছে। বেসরকারি সংস্থার অধীনে থাকা অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি চলছে। তার জেরে জমেছে নোংরা আবর্জনার স্তূপ হাসপাতালে। ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নোংরা আবর্জনা আর নোংরা জল। পায়ে পায়ে সেই নোংরা জল গোটা ওয়ার্ডময় হয়ে যাচ্ছে। তারই মধ্যে রোগীদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। রোগীর বাড়ির লোকেরা যাতায়াত করছেন। ঘটনায় রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে মাঝে মাঝে রোগীর বাড়ির লোকের সঙ্গে কর্মীদের বচসাও শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, কেন এই অচলাবস্থা শুরু হয়েছে? কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার জেরে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন সাফাইকর্মী, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। গ্লোবাল নামক ওই বেসরকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা। তবে এই সমস্যা মিটে যাবে এবং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালকে নিয়ে কেন ছেলাখেলা করা হচ্ছে? এর আগেও কয়েকবার বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল কর্মীদের। চাপে পড়ে ওই সংস্থা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিল। ফের আবার কেন এই সমস্যা? অভিযোগ, অকারনে কর্মীদের বেতনের টাকা থেকে মোটা টাকা কেটে নিচ্ছে ওই সংস্থা। আর তা আদায় করতে বার বার হাসপাতালে কর্মবিরতি করছেন কর্মীরা। এমনই ছবি বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। বার বার হাসপাতালে কেন এই সমস্যা তৈরি হবে এটাই এখন প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: World’s Greatest Places Of 2023 | ভারতের এই দুই জায়গা বিশ্বের বছর সেরা পর্যটনকেন্দ্রের তালিকায়
এক রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, এটা সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতাল। অথচ এমন পরিবেশ হয়েছে বলার মতো নয়। কার দোষ কী কারণ সেটা আমরা বলতে পারব না। আমাদের কথা হচ্ছে, এর জন্য রোগীদের কেন ভুক্তভোগী হতে হবে? দ্রুত এর সমাধান দরকার। তবে কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড় থাকবেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি। সমস্যা মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দিয়েছে শুধু।