লখনউ: বিয়ের সময় মেয়ের পরিবারের কাছে নগদ টাকা ও বুলেট বাইক চেয়েছিল ছেলের বাড়ি৷ কিন্তু আটমাস কেটে যাওয়ার পরেও বাইক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন স্বামী ও ননদ৷ অভিযোগ, স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বন্দি রাখেন স্বামী৷ টানা দশ দিন চলে অত্যাচার৷ ওই দশ দিন মারধর ছাড়া জল-খাবার কিছুই জোটেনি তাঁর৷ ১১ দিনের মাথায় কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাপেরবাড়ি ফিরে আসেন নির্যাতিতা৷ তারপর গত বুধবার মা-বাবার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান তিনি৷
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলার৷ পুলিসের কাছে অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বিয়ের সময় ছেলের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা ও বাইক চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তা দিতে না পারায় বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হয় তাঁর উপর অত্যাচার৷ সম্প্রতি তা আরও বাড়ে৷ গত ২২ এপ্রিল স্ত্রীকে সুলতানপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে যান স্বামী৷ সেখানে একটি ঘরে তাঁকে বন্দি রাখে৷ খাওয়া-দাওয়া ছিল বন্ধ৷ এমনকী খাবার জলটুকুও দেওয়া হয়নি৷ জল-খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি৷ তবুও নির্যাতন বন্ধ ছিল না৷ সকাল-বিকেল স্বামীর মারধর খেতে হত৷ মার খেয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি৷ দশদিন এভাবে নির্যাতন সহ্য করার পর ১ মে সেখান থেকে পালিয়ে যান নির্যাতিতা৷ তিনি বলেন, ‘ননদের সঙ্গে মিলে স্বামী আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল৷’ তাই থানায় স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি৷ পুলিস জানিয়েছে, মেয়েটির মাথায় গভীর চোট রয়েছে৷ তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়৷
আরও পড়ুন: Haryana Terrorists Arrest: পাকিস্তান থেকে অস্ত্র বোঝাই ড্রোন ভারতে, হরিয়ানায় গ্রেফতার চার জঙ্গি