কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্যপাল (Governor) তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose ) বৃহস্পতিবার রাজ্যের দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করলেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা উপাচার্য পদে থাকবেন বলে রাজভবন জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দশ উপাচার্যকে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে। এতে বেজায় চটেছে নবান্ন (Nabanna)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নতুন উপাচার্যদের পদ গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, এই নিয়োগ বেআইনি। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের উচ্চশিক্ষা দফতর (Higher Education Department) এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ জানাচ্ছে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত একেবারে চরমে উঠল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। তিনি টুইটে সে কথা জানিয়ে লেখেন, রাজ্যপাল আজ আবার দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। এই নিযুক্তি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা ব্যতিরেকেই করা হল। বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, এটি তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং বেআইনি। ব্রাত্য আরও লিখেছেন, এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে, সে বিষয়ে ।
রাজ্যপালের নয়া নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন সহ উপাচার্যের পদে থাকা অমিতাভ দত্ত। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হল অমলেন্দু ভুঁইয়াকে। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন সেখানকার সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | wrestler| এ লড়াই স্বাধীনতার লড়াই, কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য মমতার
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে উপাচার্যহীন (Vice Chancellor) রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় (Universities) । ২৮ মে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বুধবার আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তার উপর কলকাতা ও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। সব মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই এই মুহূর্তে উপাচার্যহীন ছিল। এরই মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Private University) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তাঁরও কার্যকালের মেয়াদ ২৮ মে শেষ হয়ে গিয়েছে।