নয়াদিল্লি: পেগাসাস ব্যবহার করে এদেশের বহু রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, বিচারপতি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে৷ ২০১৯ সালের পর দ্বিতীয়বার সাইবার হামলার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে৷ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র নাম৷ এদের তৈরি সফটওয়্যারই হল পেগাসাস স্পাইওয়্যার৷ যেটি চারটি মহাদেশের ভারত-সহ ১০টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের ফোনে ঢুকিয়ে গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: ‘পেগাসাস পেগাসাস নরেন্দ্র মোদির নাভিশ্বাস, ডেঞ্জারাস, ফেরোসাস’
গত রবিবার আড়ি পাতার ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে বিশ্বের ১৭টি সংবাদমাধ্যম৷ সেই থেকে তুলকালাম শুরু হয়েছে৷ অভিযোগের তির এনএসও-র দিকে৷ এতদিন ইজরায়েলি সংস্থাটি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল৷ কিন্তু আজ, বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়৷ তাতে বলা হয়েছে, ফরবিডেন স্টোরিজ এবং স্বার্থন্বেষী কয়েকটি গ্রুপ সুসংবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করে মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ তাই এর পর থেকে মিডিয়ার কোনও প্রশ্নের কোনও প্রতিক্রিয়া তারা দেবে না৷
বিবৃতিতে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এনএসও একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা হলেও তাদের নিয়ন্ত্রণে সিস্টেম চলে না৷ সেই কারণে গ্রাহকদের তথ্যের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে নেই৷ তবে তাদের তৈরি সফটওয়্যারের অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংস্থার তরফে পুরো তদন্ত করা হবে৷ প্রয়োজন হলে সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হবে৷
দু’বছর আগে ফোনে আড়ি পাতা সংক্রান্ত একটি তালিকা হাতে পায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং প্যারিসের অলাভজনক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ৷ সেই তালিকার ভিত্তিতে ১৭টি সংবাদমাধ্যম গোপনে তদন্ত চালিয়ে যায়৷ ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা যায়, টার্গেট ফোনগুলির কয়েকটিতে পেগাসাস ইনস্টল করা হয়েছে৷ তার পর গত রবিবার বোমা ফাটায় সংবাদমাধ্যমগুলি৷
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর লড়াই এখন থেকে শুরু, পেগাসাস ডেঞ্জারাস: মমতা
এনএসও এর আগে দাবি করেছিল, জঙ্গি এবং অপরাধমূলক ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তারা এই সফটওয়্যার শুধুমাত্র সরকারকেই দেয়৷ তবে এদিন তারা জানায়, ওই তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা পেগাসাসের টার্গেট নন৷ কেউ যদি দাবি করেন তালিকায় থাকা নামের কারওর ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে তাহলে সেটা মিথ্যা এবং ভুল৷