নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশে ফের কমল নাকি কমল নাথ? বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস। অন্তত প্রাক নির্বাচনী একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-বিজেপির কাঁধে কাঁধ রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে দুজন দুজনকে টক্কর দিতে চলেছেন। মধ্যপ্রদেশে এখনও ভোট ঘোষণা না হলেও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্য দখল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২৩০ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভার রাজ্যে তাই এখন থেকেই মাটি কামড়ে প্রচারে নেমে পড়েছে দুই দলই। তার আগে এবিপি নিউজ সি-ভোটারের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী পদে শিবরাজের পক্ষ রায় দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ। আর কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চান ৩৬ শতাংশ মানুষ।
সমীক্ষায় সাধারণ মানুষের রায় জানতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। সেগুলি হল,
ভোটে কারা, কত আসন পেতে পারে?
বিজেপি-১০৬-১১৮
কংগ্রেস-১০৮-১২০
বসপা-০-৪
অন্যান্য-০-৪
কারা কত শতাংশ ভোট পেতে পারে?
বিজেপি-৪৪ শতাংশ
কংগ্রেস-৪৪ শতাংশ
বসপা-২ শতাংশ
অন্যান্য-১০ শতাংশ
মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রথম পছন্দ কাকে?
শিবরাজ- ৩৭ শতাংশ
কমল নাথ-৩৬ শতাংশ
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া- ১২ শতাংশ
দিগ্বিজয় সিং-১ শতাংশ
অন্যান্য-১৪ শতাংশ
মধ্যপ্রদেশের ভোটের বড় ইস্যু কী?
বেকারি-৩৩ শতাংশ
বাজারদর-১৬ শতাংশ
দুর্নীতি-৭ শতাংশ
পরিকাঠামো- ৭ শতাংশ
স্থানীয় সমস্যা- ১৮ শতাংশ
অন্যান্য- ১০ শতাংশ
জানি না- ৯ শতাংশ
কমল নাথের কাজে কতটা খুশি?
খুব খুশি- ৩১ শতাংশ
অল্প খুশি- ৩৬ শতাংশ
অখুশি- ২৮ শতাংশ
জানি না- ৫ শতাংশ
শিবরাজের কাজে কতটা খুশি?
খুব খুশি- ৪০ শতাংশ
অল্প খুশি- ২৫ শতাংশ
অখুশি- ৩৩ শতাংশ
জানি না- ২ শতাংশ
রাজ্য সরকারের কাজে কতটা খুশি?
খুব খুশি- ৪০ শতাংশ
অল্প খুশি- ২৭ শতাংশ
অখুশি- ৩১ শতাংশ
জানি না- ২ শতাংশ
ডাবল ইঞ্জিন ফর্মুলা কি ব্যর্থ হবে?
হ্যাঁ- ৪০ শতাংশ
না- ৪৫ শতাংশ
জানি না- ১৫ শতাংশ
কার হিন্দুত্ববাদ সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য?
শিবরাজ- ৪২ শতাংশ
কমল নাথ- ৪৪ শতাংশ
জানি না- ১৪ শতাংশ
আম আদমি পার্টি আসরে অংশ নিলে কি কংগ্রেসের ক্ষতি হবে?
হ্যাঁ- ৪২ শতাংশ
না- ৩৯ শতাংশ
জানি না- ১৯ শতাংশ
কার প্রচারে বেশি লাভবান হবে কংগ্রেস?
মল্লিকার্জুন খাড়্গে- ১৩ শতাংশ
রাহুল গান্ধী- ২৫ শতাংশ
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী- ২৫ শতাংশ
জানি না- ৩৭ শতাংশ
ভোট প্রচারে মোদি এলে কি বিজেপি লাভবান হবে?
হ্যাঁ- ৫১ শতাংশ
না- ৩৬ শতাংশ
জানি না- ১৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। মোট ১৭ হাজার ১১৩ জনের মতামত গ্রহণ করেছে সমীক্ষাকারী সংস্থা। সমীক্ষায় ৩-৫ শতাংশ কমবেশি ভ্রান্তি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।