মুজাফ্ফরনগর: আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে প্রচার করবো৷ রবিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে এ কথা বলেন৷ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যা করেন, কৃষকরাও তাই করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷ অর্থাৎ, সংশোধিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা যে ভিন্নরকম প্রতিবাদ করবে তারই ইঙ্গিত দিলেন রাকেশ টিকায়েত৷
জাতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে টিকায়েত বলেছেন,‘‘ আমরা কেবল প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রচার করবো৷ কারণ, তিনি সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছেন৷ আমরা মানুষকে বলব কী কী সব বিক্রি হচ্ছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার হবে৷ বিদ্যুৎ, জল ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে৷ মানুষকে এইসব বলা কি ভুল? “
আরও পড়ুন- দাবি না মিটলে আন্দোলন চলবে, মহাপঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্রকে হুশিয়ারি কৃষকদের
আন্দোলনকারী কৃষকরা ঘোষণা করেছে, তাঁরা আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার৷ এমনকী, রবিবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠককে “মিশন উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ড” শিরোনাম দিয়েছে৷ যে বৈঠকে তাঁরা বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছে৷ টিকায়েত বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বারাণসীতে (মোদীর লোকসভা আসন ও লখনউতে প্রতিবাদ আন্দোলন হবে৷”
আরও পড়ুন- রবিবার দেশের ১৫ টি রাজ্য থেকে মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন কৃষকেরা
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। রবিবার মুজফফরনগরের মহাপঞ্চায়েত থেকে এই সিদ্ধান্ত নিলেন কৃষক নেতারা। কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এতো বড় সমাবেশ আগে হয়নি, দাবি কৃষক সংগঠনগুলির। কৃষক নেতাদের কথায়, কেন্দ্র বলছে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষকই প্রতিবাদ করছে। তারা দেখা যাক কতজন প্রতিবাদ করছে। আসুন আমরা আমাদের আওয়াজ তুলি, যাতে এটি সংসদে এই শব্দ পৌঁছয়।
আরও পড়ুন-কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সভার
রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরী টুইটে অভিযোগ করেন, প্রশাসন সমাবেশে হেলিকপ্টার থেকে ফুলের পাপড়ি ঝরানোর অনুমতি দেয়নি। মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন। তাঁদের উপর ফুল বর্ষণ করে অভিবাদন জানাতে চেয়েছিলাম। ডিএম, এডিজি, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট, মুখ্যসচিব, সিএম- সবাইকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা অনুমতি দিচ্ছে না! কৃষকদের নিয়ে কী বিপদের আশঙ্কা করছে সরকার? সমাবেশে রাকেশ টিকায়েত সহ শীর্ষস্থানীয় কৃষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দিতে বলা অফিসার ‘সরকারি তালিবান’: রাকেশ টিকায়েত
সেপ্টেম্বরেই আন্দোলনের ১০ মাস পূর্ণ হতে চলেছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হলেও তা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তাই সমাধান সূত্র বের করতে বৃহত্তর আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষকেরা। আগামী বছরের গোড়ায় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যোগী সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই মহাপঞ্চায়েত, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।