নয়াদিল্লি: কথায় কথায় কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে পরিবারবাদ নিয়ে আক্রমণ করা অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা ভরতুকি নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগটি তুলেছে কংগ্রেস। লোকসভায় দলের ডেপুটি নেতা গৌরব গগৈয়ের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা তাঁর মিডিয়া কোম্পানির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন।
প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে রিনিকির একটি মিডিয়া কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানির জন্য মুখ্যমন্ত্রী-জায়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ ভরতুকি পেয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে কংগ্রেস নেতা গগৈ কেন্দ্রের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। সেখানেই রয়েছে রিনিকির কোম্পানির প্রাইড ইস্ট এন্টারমেনটেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড ঋণ ভরতুকি হিসেবে ১০ কোটি টাকা নিয়েছে। যদিও অসমের মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আরএসএসের ৩ দিনের সর্বভারতীয় সমন্বয় বৈঠক শুরু, থাকবেন শাহ, নাড্ডা
মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর কোম্পানিটি হল একটি আঞ্চলিক মিডিয়া হাউস। উত্তর-পূর্বের খবরাখবর প্রচার করে তারা। ওয়েবসাইট অনুযায়ী রিনিকি এই কোম্পানির সিএমডি অর্থাৎ মালকিন। রিনিকির নামে আরও একটি কোম্পানি আছে, যার নাম গোল্ডেন থ্রেডস অফ অসম, যারা রাজ্যের মুগা সিল্ক ও তন্তুবায়দের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করে থাকে।
গৌরব গগৈ অভিযোগ এনেছেন, স্ত্রীর কোম্পানিকে ভরতুকি পাইয়ে দিয়ে প্রভাব খাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। আর এক কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ভরতুকির উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। কৃষিজমি কিনে তাকে শিল্পের জন্য জমিতে রূপান্তরিত করা। এই উদ্দেশ্যেই ভারত সরকারের কাছ থেকে ঋণ ভরতুকি পেয়েছে এই কোম্পানি। কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ আরও বলেন, নগাঁও জেলার দারিগাজি গ্রামে রিনিকি ৫০ বিঘা কৃষিজমি কিনে রেখেছেন।
বল্লভের আরও অভিযোগ, চাষিদের দিনপ্রতি আয় ২৭ টাকা। অন্যদিকে, চাষিদের জন্য বরাদ্দের ১০ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর কোম্পানিকে অনুদান হিসাবে খয়রাতি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে বলেন, এটাই কি না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা মডেল? চাষিদের রোজগার দ্বিগুণ করার লক্ষ্য!
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কৃষিজমি কিনেছেন এবং তাকে শিল্পের জন্য জমির চরিত্র বদল করেছেন। সেজন্য তাঁকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। যদিও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, আমার স্ত্রী কিংবা তাঁর কোম্পানি ভারত সরকারের কোনও আর্থিক ভরতুকি নেননি।